বগুড়া শাজাহানপুরে বৃ-কুষ্টিয়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী রফিকুল এর স্ত্রী বেবি বেগমকে নির্যাতনের দায়ে অবশেষে গ্রেফতার হলো একই এলাকার মৃত আবু জাফরের ছেলে বখাটে মিজানুর রহমান আবু (৩০)। বুধবার রাতে অভিযানে চালিয়ে আবুকে গ্রেফতার করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাজাহানপুর থানার উপ-পরিদরশক সোহেল রানা। আবুকে গ্রেফতারে স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলেছে ভুক্তভোগীর পরিবার ও মহল্লাবাসি।
অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার বেবি বেগমকে স্বামীর অবর্তমানের সুযোগ নিয়ে অনৈতিক কাজের জন্য কুপ্রস্তাব দিয়ে পাত্তা না পেয়ে এক রাতে বেবি বেগমের ঘরে ঢুকে যায় লম্পট আবু। বেবি বেগমের চিৎকারে আবু পালিয়ে যায়। পরদিন ঘরে ঢোকা বিষয়ে জানতে চাইলে বেবি বেগম ও তার ছেলেকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারপিট করে। এ ঘটনায় তখন মামলা দায়ের করে শাজাহানপুর থানায়। এ মামলায় জামিনে এসে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এমনকি প্রবাসীর পরিবারকে ঘরছাড়া করে। এ ঘটনায় থানায় জিডি হলে সে বিভিন্ন কৌশলে প্রশাসনের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে যেত এবং নির্যাতন চলতেই থাকত প্রবাসী রফিকুলের পরিবারের উপর।
পূর্বের মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্যাতিত বেবি বেগমকে তার টিনের ছাপড়া ঘর হতে ব্যাপক মারপিট করতে করতে বাড়ির বাইরে এনে ফেলে দেয়। নির্যাতন সইতে না পেরে বেবি বেগম এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পরলে লম্পট আবু ও তার সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অজ্ঞান অবস্থায় মহিলাটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করে নির্যাতিত বেবি বেগমের ছেলে বিপ্লব হোসেন। এ মামলার প্রেক্ষিতেই মামলার ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই বুধবার রাতে মামলার প্রধান আসামী বখাটে মিজানুর রহমান ওরফে আবুকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
স্থানীয় মুরব্বি হায়দার আলী বলেন, নেশাখোর এই বখাটে মহল্লার বিশৃঙ্খলার প্রধান কারন ছিল। সুপরামরশ দিয়েও কোন লাভ হয়নি। অনেক দেরিতেও হলেও যে গ্রেফতার হয়েছে, এজন্য থানা পুলিশকে ধন্যবাদ। আমরা স্বস্থি পেলাম।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাজাহানপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর সোহেল রানা জানান, অভিযোগের সত্যতা পেয়ে মামলার ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।