বগুড়ায় মোটর মালিক গ্রুপের অফিস দখলকে কেন্দ্র করে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রতিবাদে বগুড়ায় আন্তঃজেলা বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে বগুড়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আগের দিন বগুড়া জেলা পরিবহন মালিক শ্রমিক যৌথ কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নান আকন্দ সংবাদ সম্মেলনে বুধবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ধর্মঘটের ডাক দেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বগুড়া থেকে আশপাশের জেলায় এবং উপজেলায় যাতায়তকারী বাস সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে। দূরপাল্লার বাস, ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশা চললেও আন্তঃজেলা বাস চলছে না। অনেক যাত্রী বাস স্ট্যান্ডে এসে ফেরত যাচ্ছে।
এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বাধ্য হয়ে কেউ কেউ সিএনজি চালিত অটোরিকশায় অতিরিক্ত ভাড়ায় গন্তব্যে যাচ্ছেন।
চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে জয়পুরহাট জেলার তাসমিয়া আক্তারের সাথে কথা হয়।
তিনি শিশু সন্তানকে নিয়ে জয়পুরহাট যেতে বাস টার্মিনালে এসেছিলেন।
তিনি জানালেন, বাস বন্ধ থাকায় ট্রেনে যাবেন।
দুপচাচিয়া উপজেলার তোতা মিয়া বলেন, “বাস বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়ায় সিএনজি অটোরিকশায় যাচ্ছি।
“দুপচাচিয়ায় বাসে যেতে জনপ্রতি ৩০ টাকা লাগত। আজ সিএনজি অটোরিকশায় প্রতিজন ১শ’ টাকায় যাচ্ছি।”
এদিকে মঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় তিনটি মামলা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ন কবির জানান, ওই ঘটনায় মঙ্গলবার তিনটি মামলা হয়েছে।
মোটর মালিক গ্রুপের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সদর উপজেলা যুবলীগ সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় এ গ্রুপের সাবেক আহ্বায়ক এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মুন্জুরুল আলম মোহনসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে ভাংচুর, অগ্নি সংযোগের অভিযোগে এ মামলা করেন।
মুন্জুরুল আলম মোহনের ভাই মশিউল আলম ভাংচুর, অগ্নি সংযোগের অভিযোগে আমিনুল ইসলামসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে অপর একটি মামলা করেন।
এছাড়া উপ-পুলিশ পরিদর্শক নান্নু খান এক পুলিশের ছুরিকাঘাতে আহত হওয়রা ঘটনায় মুন্জুরুল আলম মোহনসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বলে জানান তিনি।