নিজের ফাঁস হওয়া অডিও টেপ নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ। ইন্সটাগ্রামে দেওয়া পোস্টে এ ঘটনায় ইরানের কুদস ফোর্সেও সাবেক কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানির পরিবারের সদস্যদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি রবিবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে বিতর্কিত ঐ অডিও টেপে জারিফের মন্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন। সর্বোচ্চ নেতার বক্তব্য মাথা পেতে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জারিফ। তিনি বলেছেন, সর্বোচ্চ নেতার সহানুভূতিশীল ভাষণই তার জন্য শেষ কথা।
নিজের ইন্সটাগ্রাম পেজে দেওয়া পোস্টে জারিফ বলেন, ‘সর্বোচ্চ নেতার বক্তব্য অতীতের যে কোনো সময়ের মতো আমার ও আমার সহকর্মীদের জন্য শেষ কথা। এই ভাষণের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত সব বিতর্কের অবসান হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জন কর্মী হিসেবে আমি সব সময় এই দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতাম যে, দেশের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে তা বাস্তবায়ন করাই আমাদের দায়িত্ব।’
জারিফ বলেন, ‘দেশের শত্রুরা আমার এমন একটি সাক্ষাত্কারের অংশবিশেষ প্রকাশ করেছে তার বিন্দুবিসর্গও প্রকাশ করার কথা ছিল না। প্রকাশের জন্য সাক্ষাত্কারটি রেকর্ডও করা হয়নি। তারপরও আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা সম্পর্কিত ঐ সাক্ষাত্কার সর্বোচ্চ নেতাকে মনোক্ষুণ্ন করেছে বলে আমি অত্যন্ত দুঃখিত।’ উল্লেখ্য, ফাঁস হওয়া ঐ অডিও টেপে জারিফ হতাশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ইরানের পররাষ্ট্র নীতির ওপর প্রভাব বিস্তার করে দেশটির প্রভাবশালী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী। রাশিয়ার নির্দেশে এই বাহিনীই তেহরানকে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে জড়িয়েছে।
এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে খামেনি বলেন, দুনিয়ার কোথাও কোনো দেশের পররাষ্ট্রনীতি ঐ দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে না। প্রতিটি দেশের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণের জন্য একটি উচ্চতর কর্তৃপক্ষ থাকে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে নীতি বাস্তবায়ন করে মাত্র। আমাদের দেশে সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ এই নীতি নির্ধারণ করে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার নিজস্ব পদ্ধতিতে তা বাস্তবায়ন করে।