প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচাবে ৫ পানীয়

বর্ষাকাল এলেও এখনো ঝুম বৃষ্টির দেখা নেই। প্রচণ্ড গরমে চারদিক তপ্ত হয়ে উঠেছে। এমন সময় হিট স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এক্ষেত্রে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ফলে দেখা দেয় শারীরিক জটিলতা। এক্ষেত্রে শরীর একবারেই পানিশূন্য হয়ে পড়ে।

রোদে যারা দীর্ঘক্ষণ পরিশ্রম করেন তাদের যেমন হিট স্ট্রোক হতে পারে, আবার বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রেও এমনটি হতে পারে। এছাড়া শরীরে পানিশূন্যতা ও বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিার দরুনও গরমে হিট স্ট্রোক হতে পারে।

হিট স্ট্রোকের লক্ষণ কী কী?

প্রথমেই হতে পারে হিট ক্র্যাম্প। এর ফলে মাংসপেশিতে ব্যথা হয়, শরীর দুর্বল লাগে ও সব সময় পিপাসা পায়। পরবর্তী সময়ে দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস, মাথাব্যথা, ঝিমঝিম করা, বমিভাব, অসংলগ্ন আচরণ ইত্যাদি দেখা দেয়। এছাড়া শরীরের তাপ বেড়ে যায় ও প্রচুর ঘাম হয়।

হিট স্ট্রোক হলে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যায়। ঘাম বন্ধ হয়ে যায়। ত্বক শুষ্ক ও লালচে হয়ে যায়। এমনকি নিঃশ্বাস দ্রুত হয় ও নাড়ির স্পন্দন কমে আসে বা দ্রুত হয়।

রক্তচাপ কমে যায়। খিঁচুনি, মাথা ঝিমঝিম করা, অস্বাভাবিক আচরণ, হ্যালুসিনেশন, অসংলগ্ন ইত্যাদি। এমনকি রোগী অজ্ঞান হয়েও যেতে পারে।

তাই হিট স্ট্রোক হওয়ার আগেই তা প্রতিরোধ করা উচিত। ঘরোয়া উপায়েই হিট স্ট্রোকের ঝুঁকে এড়ানো সম্ভব। এজন্য পুষ্টিকর কিছু খাবার খেতে পারেন। বিশেষ করে কিছু পানীয় আছে, যেগুলো পান করলে গরমে শরীর ঠান্ডা থাকবে ও হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমবে।

>> বাটার মিল্কে থাকে প্রোবায়োটিক, প্রোটিন এবং ভিটামিন। যা আপনার দেশের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। তাই গরমে বাইরে থেকে ঘরে ফিরেই পান করুন বাটার মিল্ক।

>> আয়ুর্বেদ অনুসারে বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর সামান্য মধুর সঙ্গে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে পান করার উপকারিতা অনেক। এতে দেহের তাপমাত্রা ও হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে।

>> গরম কাটানোর জন্য তেঁতুলও অনেক উপকারী। তেঁতুল দেহে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে ও পানিশূন্যতা রোধ করে। এজন্য পানিতে কয়েকটি তেঁতুল সেদ্ধ করে সঙ্গে গুড় মিশিয়ে পান করুন। এতে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে আবার শরীরও থাকবে ঠান্ডা।

>> কাঁচা আমের জুস পান করলেও শরীর হবে ঠান্ডা। কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। একইসঙ্গে ডায়রিয়াও প্রতিরোধ করে।

>> ছাতু খেলে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক ইত্যাদি খনিজ চাহিদা পূরণ হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও ভালো ছাতু। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণও থাকে নিয়ন্ত্রণে।

হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে ও পেটের স্বাস্থ্যের ভালো রাখে ছাতু। গরমে ছাতু খেলে শরীর ঠান্ডা হয় ও পানিশূন্যতাও দূর হয়।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আজকের দিন-তারিখ
  • মঙ্গলবার (দুপুর ১:৫৬)
  • ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com