যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে বন্যায় কমপক্ষে ৭৯ জন মানুষ মারা গিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ইরানে ভারী বর্ষণের ফলে বন্যা এবং ভূমিধসে অন্তত ৫৩ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাতজন আর যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় কেনটাকি রাজ্যের অ্যাপালাচিয়ায় অন্তত ১৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বন্যায় নিহতদের মধ্যে অন্তত ৬ জন শিশু রয়েছে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশটির কেনটাকিতে বন্যাকে ‘বড় বিপর্যয়’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে স্থানীয় উদ্ধারকারীদের সহায়তা করার জন্য ফেডারেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কেনটাকির বন্যার মতো চরম বৈরী আবহাওয়ার ঘটনা ঘটছে। দেশটির ন্যাশনাল গার্ডের হেলিকপ্টারে করে কেনটাকির গভর্নর বেসিয়ার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কেনটাকির বন্যাকে এযাবৎকালের ‘সবচেয়ে ভয়াবহ’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
বেসিয়ার বলেছেন, এখনও অনেক মানুষ বন্যায় আটকা আছেন। এছাড়া আরও অনেক মানুষের খোঁজও পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা তাদের সবাইকে খুঁজে বের করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। বন্যা কবলিত এলাকা থেকে ইতোমধ্যে শত শত মানুষকে নৌকা এবং হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করা হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত তিন দশকের মধ্যে এবারের বন্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে। দেশটিতে তিন দশকের মধ্যে এবারই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানায়, দেশটির রাস আল খাইমাহ, শারজাহ এবয় ফুজাইরাহ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর নিহত সাত প্রবাসীর সবাই এশিয়া মহাদেশের নাগরিক।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, দেশটিতে দুই দিনের বন্যায় ৩১টি প্রদেশের মধ্যে ১৮টি প্রদেশের ৪০০টি শহর ও গ্রামকে প্রভাবিত করেছে। বন্যায় এখনো ১৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
গত শুক্রবারের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ছিল রাজধানী তেহরানের উত্তর-পূর্বে আলবোর্জ পর্বতমালার পাদদেশে ফিরোজ কুহ। সেখানে অন্তত ১০ জন মারা গেছে বলে তেহরানের গভর্নর মোহসেন মনসুরি জানিয়েছেন।
আর গত বৃহস্পতিবার তেহরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইমামজাদেহ দাউদ গ্রামে বন্যার কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে অন্তত আটজন মারা গিয়েছেন। সেখানকার একটি ধর্মীয় উপাসনালয়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।