অনিয়মিত পিরিয়ড ও ব্যথা দূর করবে যে পানীয়

ক্লান্তি, ক্র্যাম্প এবং খিটখিটে মেজাজ? আমরা বুঝতে পারি এটি আবার মাসের সেই সময়। পিরিয়ডের সময়টা অস্বস্তি এবং ব্যথা নিয়েই কাটে বেশিরভাগ নারীর। এসময়টা অনেকে বিছানা ছেড়েও উঠতে চান না। এর সঙ্গে অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা যোগ হয় আবার অনেকের। এর পেছনের কারণ সম্পর্কে জানতে হবে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন মাসিক চক্রকে ব্যাহত করে। আবার এটি পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমের (PCOS) পূর্বসূরিও হতে পারে। তাই ঝুঁকি দূর করতে একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া ভালো।

ভেতর থেকে নিজেকে নিরাময় করতে এবং অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত করতে ডায়েট ঠিক করতে পারেন। ভারতের ডায়েটিশিয়ান এবং PCOS বিশেষজ্ঞ রিচা গাঙ্গানি তার ইনস্টাগ্রামে স্বাস্থ্যকর মাসিক চক্রের জন্য ঘরে তৈরি পানীয়ের রেসিপি শেয়ার করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে কারি পাতা, আদা, লবঙ্গ এবং দারুচিনি। আপনি যদি এমন কেউ হন যিনি PCOS বা হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় ভুগছেন তবে অল্প বা অনিয়মিত পিরিয়ড এবং ব্রণের সমস্যার জন্য এই জাদুকরী পানীয়টি পান করে দেখতে পারেন।

কারি পাতা কীভাবে সাহায্য করে?

কারি পাতায় পটাসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফলিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং নারীর বাড়াতে সাহায্য করে। এটি অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দূর করে নিয়মিত করতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে পিরিয়ডের সময়ে ক্র্যাম্প এবং ব্যথা প্রতিরোধ করে।

দারুচিনি কীভাবে উপকার করে?

দারুচিনি প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনের মাত্রা কমাতে এবং নারীর শরীরে এন্ডোরফিনের মাত্রা বাড়াতে কাজ করে, যা সামগ্রিক রক্ত ​​সঞ্চালনকে আরও উন্নত করে। ফলে দারুচিনি খেলে পিরিয়ড ক্র্যাম্প এবং রক্তপাত কমে।

আদা কীভাবে সাহায্য করে?

আদার মধ্যে জিঞ্জেরল, শোগাওল, প্যারাডল এবং জিঞ্জেরন সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ যৌগ রয়েছে। এই পুষ্টিগুলো প্রদাহ কমাতে এবং পিরিয়ডের সময় ব্যথা উপশম করতে পরিচিত।

লবঙ্গ কীভাবে উপকার করে?

লবঙ্গে ইউজেনল নামক প্রদাহরোধী গুণ রয়েছে। এটি পিরিয়ডের উপসর্গগুলো সহজ করতে এবং স্বাভাবিকভাবে প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করতে পরিচিত।

কতটুকু খাবেন

প্রায় এক ইঞ্চি দারুচিনি, তিনটি লবঙ্গ, চারটি কারি পাতা এবং পাঁচ টুকরা জুলিয়ান কাট আদা নিতে হবে। পানীয়টি পান করার সর্বোত্তম উপায় হলো, খাবার পানিতে এগুলো সারারাত ভিজিয়ে রাখা এবং নিয়মিত আট সপ্তাহ ধরে খালি পেটে খাওয়া। ডায়েটিশিয়ান রিচা গাঙ্গানি এই পরামর্শ দেন। তবে আপনার জন্য কতটুকু প্রয়োজন তা জানার জন্য একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিলে সবচেয়ে ভালো হয়।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com