কয়েক দিন আগে প্রেমের টানে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের রাজস্থান থেকে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় প্রেমিক নাসরুল্লাহর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন ভারতীয় গৃহবধূ অঞ্জু। এরপর দুই দেশের গণমাধ্যমের শিরোনামে উঠে আসে ভারতীয় এই গৃহবধূর পাকিস্তানি প্রেমিকের কাছে ছুটে যাওয়ার খবর। সোমবার পাকিস্তানি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাসরুল্লাহ বলেছিলেন, ভারত দেখা করতে আসা প্রেমিকাকে বিয়ে করবেন না তিনি।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভারতীয় গৃহবধূ অঞ্জুকে বিয়ে করলেন খাইবার পাখতুনখোয়ার বাসিন্দা নাসরুল্লাহ। শুধু তাই নয়, ধর্ম পরিবর্তন করে আইনি প্রক্রিয়া মেনে নাসরুল্লাহকে বিয়ে করেছেন ভারতীয় গৃহবধূ অঞ্জু। যদিও ৩৪ বছর বয়সী অঞ্জুকে বিয়ে করবেন না বলে সোমবার জানিয়ে দিয়েছিলেন তার ২৯ বছর বয়সী প্রেমিক নাসরুল্লাহ।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম আজ ইংলিশ টিভির এক প্রতিবেদনে তাদের বিয়ের তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ধর্ম পরিবর্তনের পর অঞ্জুর নতুন নাম হয়েছে ফাতিমা। আপার দির জেলার আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে সারেন এই প্রেমিকযুগল। তার পর একটি ভিডিও প্রকাশ করেন তারা।
ভিডিওতে দেখা যায়, পাকিস্তানের কয়েকটি দর্শনীয় স্থানে একসঙ্গে ঘুরছেন তারা। দু’জনকে পাশাপাশি বসে নানা ঢংয়ে ছবিও তুলতে দেখা যায় তাদের।
খাইবার পাখতুনখোয়ার মালাকান্দ ডিভিশন পুলিশের উপমহাপরিদর্শক নাসির মেহমুদ সাট্টি অঞ্জু ও নাসরুল্লাহর বিয়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ভারতীয় গৃহবধূ অঞ্জু ধর্ম পরিবর্তন করে নাসরুল্লাহকে বিয়ে করেছেন। নিরাপত্তা বিবেচনা করে পুলিশি পাহারায় অঞ্জুকে জেলা আদালত থেকে তার শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাজস্থানের গৃহবধূ অঞ্জু পাকিস্তানে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পর দুই দেশের গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়। কারণ তার কয়েক দিন আগে ভারতে প্রেমিকের কাছে পালিয়ে আসেন পাকিস্তানি গৃহবধূ সীমা হায়দার।
তাকে নিয়ে যখন দু’দেশে তোলপাড় চলছে তখন পাকিস্তানে পৌঁছে অঞ্জু দাবি করেন, তিনি পাকিস্তানের গৃহবধূ সীমা হায়দারের মতো নন। তার সঙ্গে তাকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। এমনকি নাসরুল্লাহর সঙ্গে তার প্রেমের কোনও সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেন অঞ্জু। একই সঙ্গে শিগগিরই ভারতে ফিরবেন বলে জানান তিনি।