বগুড়ার ধুনটের চান্দারপাড়া গ্রামে মর্জিনা খাতুনকে (৪০) হত্যার পর তারই ঘরের মেঝেতে লাশ পুঁতে রেখেছেন ছেলে ও পুত্রবধূ। এ ঘটনায় ছেলে রাব্বী ইসলাম (২০) ও পুত্রবধূ নূপুর খাতুনকে (১৮) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২।
শুক্রবার রাতে সাভারের আশুলিয়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করার পর শনিবার (২৯ জুলাই) বিকালে তাদের ধুনট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম।
এর আগে দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘২২ জুলাই চান্দারপাড়া গ্রামে নিজ ঘরের মেঝে খুঁড়ে মর্জিনা খাতুনের পচন ধরা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিন হত্যায় জড়িত সন্দেহে মর্জিনা খাতুনের মা রওশন আরাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওই সময় মর্জিনার ছেলে রাব্বী ইসলাম ও পুত্রবধূ নূপুরকে খবর দেওয়া হলেও বাড়িতে আসেননি। তাদের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন এ ঘটনায় ধুনট পৌরসভার মেয়র এজিএম বাদশা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।’
ঘরের মেঝে খুঁড়ে মর্জিনার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে র্যাব তৎপর হয় জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মায়ের মৃত্যুর খবরে মর্জিনার ছেলে ও পুত্রবধূ বাড়িতে না আসায় আমাদের সন্দেহ হয়। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আশুলিয়ার উত্তর কাঠগড়ের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পারিবারিক কলহে মর্জিনাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ছেলে ও পুত্রবধূ। স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর শনিবার বিকালে তাদের ধুনট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’
ধুনট থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, ‘পারিবারিক কলহে মর্জিনা খাতুনকে তার মা রওশন আরা, ছেলে রাব্বী ও পুত্রবধূ নূপুর হত্যা করেছেন। এরপর লাশ ঘরের মেঝেতে পুঁতে রেখে পালিয়ে যান তারা। লাশ উদ্ধারের দুই দিন আগে অর্থাৎ ২০ জুলাই ঘটনার পরিস্থিতি জানতে বাড়িতে আসেন রওশন আরা। ওই সময় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তির পর ছেলে রাব্বী ও পুত্রবধূ নূপুরকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জবানবন্দি দিতে চাইলে রবিবার আদালতে হাজির করা হবে। আর জবানবন্দি না দিলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।’