বর্ষাকালে রোগ এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শিশুরা তো বটেই, বড়রাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পানি জমার কারণে মশার উপদ্রব বাড়ে। তার হাত ধরে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। টাইফয়েডের মতো পানিবাহিত রোগেও অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে।
বর্ষাকালে জেলা হাসপাতালগুলোতে এই ধরনের রোগীর সংখ্যাও বেড়ে যায়। তাই এই মৌসুমে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চলার কথা বলেন যাতে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকনগুনিয়ার মতো রোগ এবং মশার হাত থেকে বাঁচা যায়।
রোগ বিস্তারের কারণ
বর্ষাকালে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বর্ষায় অনেক জায়গায় পানি জমে থাকে। যার ফলে মশার বংশবৃদ্ধি হয়। এ থেকেই ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা বেড়ে যায়। পাশাপাশি নোংরা পানি পান করার কারণে টাইফয়েড, ডায়রিয়া (পাকস্থলীতে সংক্রমণ) এবং ভাইরাল জ্বর ও সর্দি-কাশিতেও ভোগেন অনেকে।
রোগ এড়াতে যা করবে
বর্ষার মৌসুমে মশা ও পোকামাকড় থেকে রক্ষা পাওয়া সবচেয়ে জরুরি। বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় ফুল হাতা জামা পরা উচিত। বাড়ির ভিতরে বা আশপাশে থাকা ফুলের টবে যেন বৃষ্টির পানি না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এই মৌসুমে জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকতে হবে। বাড়িতে রান্না করা টাটকা খাবার খাওয়াই ভাল। এর কোনও বিকল্প নেই। না হলে পেটে ইনফেকশন হতে পারে।
বর্ষাকালে আদা, রসুন, লেবু, প্রচুর শাকসবজি এবং নিরামিষ খাবার খাওয়া উচিত। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। উন্নত হবে মেটাবলিজম। প্রতিদিনের ডায়েটে তাজা ফল এবং সবজি রাখাও অপরিহার্য। সূত্র- নিউজ ১৮