সেপ্টেম্বর থেকে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকা

এ বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকেই দেশের ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে মেয়েদের এইচপিভি টিকা দেওয়া শুরু করব। এই মুহূর্তে আমাদের হাতে সাড়ে ২৩ লাখ ভ্যাকসিন আছে। এগুলো স্কুল পর্যায়ে থেকে দেওয়া হবে।

সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত ‘জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস টিকা প্রদান’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথম পর্যায়ে ঢাকায়, ২য় পর্যায়ে চট্টগ্রাম ও বরিশালে দেওয়া হবে। এরপর সারা দেশে দেওয়া হবে। আগামী নভেম্বর মাসে আরও ২০ লাখ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে এবং ২০২৪ সালে আরও ৪২ লাখ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর অন্যতম কারণ জরায়ুমুখ ক্যান্সার। এতে আক্রান্তের হার বিশ্বে ৪র্থ সর্বোচ্চ এবং দেশে ২য় সর্বোচ্চ। জরায়ু ক্যান্সার বিশ্বে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ নারী মারা যান, যার মধ্যে ৯০ ভাগই ঘটে উন্নয়নশীল দেশে। বাংলাদেশে প্রতি লাখ নারীর মধ্যে ১৬ জন জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং ৬ হাজার ৫৮২ জন নারী বছরে মারা যান। জরায়ুমুখ ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী শেষ পর্যায়ে শনাক্ত হন বলে মৃত্যুসংখ্যা বেশি হয়।

জাহিদ মালেক বলেন, দেশের ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি গ্রুপ অব এক্সপার্টের (নাইট্যাগ) সিদ্ধান্ত অনুসারে ১ ডোজ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা প্রদান করলে এই ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এজন্য আমরা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

কলেরা টিকা প্রদান প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কলেরা রোগের ভ্যাকসিন প্রথম পর্যায়ে ১২ লাখ ডোজ, পরবর্তী পর্যায়ে ২৪ লাখ লোককে ২ ডোজ করে ৪৮ লাখ ডোজ দেওয়া হয়েছে।

ডেঙ্গু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি বাড়তে যাচ্ছে। গত জুলাই মাসে দেশে ৪৫ হাজার জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে অথচ এই সংখ্যা গত ২০২২ সালে জুলাই মাসে ছিল মাত্র ১৫০০ জন। এ বছর এ পর্যন্ত ৩১৩ জন মানুষ ডেঙ্গুতে মারা গেছেন, আক্রান্তও বাড়ছে। আমরা ঢাকায় ৩০০০ ডেঙ্গু বেড প্রস্তুত রেখেছিলাম। তার মধ্যে ২১০০ এর মতো ভর্তি হয়ে গেছে। প্রায় ৮০০ বেড খালি থাকলেও ঠিকভাবে মশা কমানো না গেলে ভবিষ্যতে আমাদেরকে আরও বেড প্রস্তুত রাখতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা উপস্থিত ছিলেন।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com