সাবেক ব্রিটিশ রাজবধূ প্রিন্সেস ডায়ানার ব্যবহৃত একটি প্রমোদতরী ফ্রান্সের উপকূলে ডুবে গেছে। ১৯৯৭ সালে প্রিন্সেস ডায়ানা এবং তার কথিত প্রেমিক ডোডি ফায়েদ তাদের মৃত্যুর আগে এই সুপারইয়ট বা প্রমোদতরীতে একসঙ্গে কয়েক সপ্তাহ কাটিয়েছিলেন।
বলা হচ্ছে, কোনও একটি বস্তুকে আঘাত করার পর ইয়টটি ভূমধ্যসাগরীয় ঢেউয়ে তলিয়ে যায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্টের বরাত দিয়ে বুধবার (৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৭ সালের গ্রীষ্মের শেষের দিকে মৃত্যুর আগে প্রিন্সেস ডায়ানা এবং তার কথিত প্রেমিক ডোডি ফায়েদ ৬৫ ফুট দীর্ঘ সুপারইয়ট কুজোতে কয়েক সপ্তাহ কাটিয়েছিলেন। আর সেই ঘটনার কয়েক দশক পর কুখ্যাত এই নৌযানটি ফ্রান্সের উপকূলে ডুবে গেছে বলে ইন্ডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ফরাসি রিভেরার বুলিউ-সুর-মের কাছে একটি অজ্ঞাত বস্তুকে আঘাত করার পর প্রমোদতরী কুজো ভূমধ্যসাগরীয় ঢেউয়ে তলিয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর ওই ইয়টে থাকা সাতজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মূলত হাই-প্রোফাইল যাত্রীদের কারণে সদ্য ডুবে যাওয়া এই ইয়টটি বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত প্রমোদতরী ছিল। তবে ডুবে যাওয়ার পর ইয়টটি এখন সমুদ্রের ৭ হাজার ফুট নিচে চলে গেছে।
ফরাসি সামরিক বাহিনীর বিভাগ জেন্ডারমেরি ডেস আলপেস-মেরিটাইমসের একটি ফেসবুক পোস্ট অনুসারে, ইয়টটিতে থাকা যাত্রীরা গত ২৯ জুলাই স্থানীয় সময় সাড়ে ১২টার দিকে ফোন করেছিল। এর এক ঘণ্টা পর উদ্ধারকারী নৌকা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ইয়টটিকে আংশিকভাবে নিমজ্জিত অবস্থায় দেখতে পায়।এতে আরও বলা হয়েছে, ‘ইয়টের কেবিনগুলো ইতোমধ্যেই প্লাবিত হয়ে গিয়েছিল এবং রান্নাঘরে ও ডেকের ওপর থাকা শুধুমাত্র কয়েকটি স্যুটকেস উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।’
দুর্ঘটনার কারণ প্রকাশ করা হয়নি। তবে বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে বোট ইন্টারন্যাশনালে দাবি করা হয়েছে, সামনে ভাসমান একটি অজানা বস্তুকে আঘাত করে প্রমোদতরীটি। এরপরই সেটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
আর্কিটেকচারাল ডাইজেস্ট অনুসারে, ইয়টটি মূলত ১৯৭২ সালে চালু হয়েছিল এবং এটির প্রথম মালিক জন ভন নিউম্যানের মাধ্যমেই তা কমিশন লাভ করেছিল। প্রিন্সেস ডায়ানা এবং ডোডি ফায়েদ ছাড়াও ক্লিন্ট ইস্টউড, টনি কার্টিস, ব্রুস উইলিস এবং ব্রুক শিল্ডস-সহ অন্যান্য হাই-প্রোফাইল যাত্রীরা কোনো না কোনো সময় এই প্রমোদতরীতে যাত্রী হিসেবে অবস্থান করেছিলেন।
প্রিন্সেস ডায়ানা এবং ডোডি ফায়েদের মৃত্যুর পর ইয়টটি কার্যত দৈন্যদশার মধ্যে পড়ে এবং ১৯৯৯ সালে বন্ধ হয়ে যায়। বহু বছর পর ফায়েদের চাচাতো ভাই মুডি আল-ফায়েদ এটি কিনে নেন এবং প্রমোদতরীটি আবারও চালু করেন।
পরে এটি সাইমন কিডস্টনের কাছে বিক্রি করা হয়।