ঝড়-বৃষ্টি, বন্যা- এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মানুষকে বিপদের মুখোমুখি হতে হয়। অনেকেই এর কারণে সহায় সম্বল হারিয়ে বিপন্ন হয়ে পড়েন। এমন বিপন্ন মানুষদের সহযোগিতা করা এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো একজন মুসলিমের ঈমানী দায়িত্ব। কারণ, বিপন্ন মানুষের সহায়তার মাধ্যমেই ঈমান পরিপূর্ণ হয়।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তারা তাদের খাবারের প্রতি ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও সে খাবার অসহায়, এতিম এবং বন্দিদের খাওয়ায়।’ (সুরা : দাহার, আয়াত :
একজন মুমিনের ঈমান পূর্ণতার বিষয়টিও জড়িত বিপন্নকে সহায়তা করার মাঝে। এক হাদিসে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ওই ব্যক্তি পূর্ণাঙ্গ ঈমানদার নয়, যে নিজে পেট পুরে খায় আর তার প্রতিবেশী অভুক্ত থাকে।’ (বুখারি)
অপর এক হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘বান্দা যতক্ষণ তার ভাইকে সাহায্য করে, আল্লাহ ততক্ষণ তাকে সাহায্য করে থাকেন’। (মুসলিম, হাদিস : ২১৪৮)
বিপন্ন মানুষকে সাহয্য সহযোগিতার মাধ্যমে পরকালে বিশেষ পুরস্কারের সুসংবাদ শুনিয়েছেন প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি বলেছেন, ‘যে মুসলমান অপর কোনো মুসলমানকে বস্ত্রহীন অবস্থায় বস্ত্র দান করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে সবুজ বর্ণের পোশাক পরাবেন, খাদ্য দান করলে তাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন, পানি পান করালে জান্নাতের শরবত পান করাবেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৭৫২)আরেক হাদিসে অন্যের প্রয়োজন পূরণে এগিয়ে আসা ব্যক্তিদের মহা সুসংবাদ শুনিয়েছেন রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়াতে অপরের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০টি প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৪১৯)