আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত খুনিদের দল। এরা বাংলাদেশের রাজনীতিকে ধ্বংস করেছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এ বিএনপি-জামায়াত বাঙালি জাতির স্বপ্ন ও মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যকে নষ্ট করেছে। তারা এখনও বাংলাদেশকে ধ্বংস করে পাকিস্তান বানাতে চায়।
শুক্রবার ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতাকে যারা হত্যা করেছে তারা শুধুমাত্র হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি, তারা জাতির পিতার পরিবার ও বিশ্বস্ত ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করেছে। তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারীদের ধ্বংস করতে চেয়েছিল। জাতির পিতা ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল বানানোর চেষ্টা করেছিলেন। খুনিরা তা মেনে নিতে পারেনি। তাই তারা জাতির পিতাসহ তার পরিবারের ও আশপাশের মানুষদের হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার হত্যাকারীদের লক্ষ্য স্পষ্ট ছিল। যখন দেশ স্বাভাবিকভাবে চলছিল, খাদ্যদ্রব্যের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিল, খাদ্যের মজুত যখন পর্যাপ্ত ছিল, যখন দেশে দুর্ভিক্ষ ও হাহাকার ছিল না, শান্তি ও স্থিতি ছিল ঠিক সেই মুহূর্তে খুনি জিয়া-মোশতাক গংরা জাতির পিতাকে হত্যা করে।
নাছিম বলেন, এই চক্র ভেবেছিল জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে একটি আদর্শ, একটি দেশকে ধ্বংস করবে। তারা একটি দেশের স্বপ্ন ও চেতনাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় আজকে প্রমাণিত হয়েছে খুনিরা ও আন্তর্জাতিক চক্র যে উদ্দেশ্যে জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল তা সফল হয়নি। তারা ব্যর্থ হয়েছে। তাদের ব্যর্থতার মধ্যদিয়ে আমাদের বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ২১ বছরের লড়াই সংগ্রামের মধ্যদিয়ে আমরা পেয়েছি গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক শাসনের অধিকার এবং বাংলাদেশের মানুষের ভাতের অধিকার।
তিনি বলেন, আমরা ৭৫ এর ঘাতকদের বিচারের আওতায় এনে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ফাঁসি দিতে সক্ষম হয়েছি। আমরা একাত্তরের ঘাতক ও যুদ্ধ অপরাধীদেরও বিচার করতে পেরেছি। যারা কটাক্ষ করে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কথা বলেছে আমরা তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছি। বাংলার মাটিতে কোনো ঘাতক যুদ্ধাপরাধীর স্থান নেই।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী।
সভায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি আব্দুল আলীম বেপারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ইসহাক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান নাঈম, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন ও সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ বক্তব্য রাখেন।