জোহরের নামাজের পরপরই চলছে খাবার টেবিল সাজানোর প্রস্তুতি। কিছুক্ষণের মধ্যে আশপাশ থেকে পথশিশু, মানসিক ভারসাম্যহীন, ভিক্ষুক, হতদরিদ্র, উদ্বাস্তুরা খাবার খেতে হাজির হয়। তৃপ্তি করে পেট ভরে খাবার খেয়ে আবারও যার যার গন্তব্যে ফিরে যাচ্ছেন তারা।
প্রতিদিনই এমন দৃশ্যের দেখা মেলে যশোরের শার্শা উপজেলার শ্যামলাগাছি মডেল মাদরাসা প্রাঙ্গণে অবস্থিত পথ-শিশু ও পাগলদের খাবার বাড়িতে। ‘ক্ষুধা লাগলে খেয়ে যান’ এমন স্লোগানে করোনা মহামারির পর থেকে এভাবে পথ-শিশু, পাগল, ভিক্ষুকদের তিনবেলা ফ্রি খাবার খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে আসছেন শ্যামলাগাছি মডেল মাদরাসা পরিচালক এবং খাবারবাড়ির উদ্যোক্তা মিজানুর রহমান।
৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা রোকসানা বেগম। ক্রাচ ভর করে এসেছেন খাবার বাড়িতে খাবার খেতে। রোকসানা বেগম বলেন, ‘আমিও অসহায়। ছেলেরা কেউ দেখে না। মিজান আমার ছেলের মতো। সে তার সাধ্যমতো আমাদের তিনবেলা খাওয়ায়। আমরা দোয়া করি আল্লাহ যেন আরও তৌফিক দান করেন। সে যেন আরও ক্ষুধার্ত মানুষকে এভাবে খাওয়াতে পারে।
সুমন হোসোন নামে ৭ বছরের এক শিশু বলে, ‘আমার বাবা আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। মা ভাটায় কাজ করে। এজন্য মিজান কাকা আমাকে এখানে এনেছে। আমি এখানে থাকি পড়াশোনা করি।’