প্রতিদিনের খাবারে অন্তত একটি ফল রাখলে তা আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। এটি প্রয়োজনীয় পুষ্টির একটি সহজ উৎস এবং ক্ষুধা মেটানোর সবচেয়ে মিষ্টি উপায়। তবে ফল খেলেই হবে না, এক্ষেত্রে মানতে হবে কিছু নিয়ম। কারণ আমাদের কিছু সাধারণ অভ্যাস যে ভুল, তা আমরা নিজেরাও জানি না। ফল খাওয়ার সময় কিছু ভুল এড়িয়ে চলতে হবে। এতে ফলের পুষ্টি পুরোপুরি ভোগ করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ফল খাওয়ার সময় পানি পান করবেন না
বেশিরভাগ ফলে পানির উপাদান বেশি থাকে এবং এটি ডিটক্সিফিকেশনের জন্য দুর্দান্ত। তবে ফল খাওয়ার ঠিক পরপরই পানি পান করলে তা হজম প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। এই অভ্যাস হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এবং অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যা করেন, যখন আপনার শরীর অতিরিক্ত পানি পায়, তখন কিডনি সর্বোত্তমভাবে কাজ করতে পারে না। যে কারণে বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা এবং অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি হয়। পানি পান করা ও ফল খাওয়ার মধ্যে অন্তত এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।কাটা ফল দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করবেন না
ব্যস্ততার জন্য আমাদের অনেক কাজই আমরা আগেভাগে করে রাখি। অনেক সময় বেশি করে ফল কেটে রাখি যেন বারবার কাটতে না হয়। এতে সময় বাঁচে ঠিকই কিন্তু আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। দীর্ঘ সময় কাটা ফল রেখে দিলে তার পুষ্টি উপাদান অনেকটাই কমে যায়। সেইসঙ্গে ফলের স্বাদও নষ্ট হয়। তাই সময় বাঁচানোর জন্য একসঙ্গে অনেক ফল কাটতে যাবেন না।
ফলের রস খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে আনুন
তাজা ফলের রস নিঃসন্দেহে আকর্ষণীয়, তবে এটি স্বীকার করতেই হবে যে জুস করলে তা ফলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকে নষ্ট করে। এর অর্থ এই নয় যে আপনাকে ফলের রস উপভোগ করা থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকতে হবে। এর বদলে আস্ত ফল এবং ফলের জুস খাওয়ার মধ্যে স্বাস্থ্যকর ভারসাম্য বজায় রাখুন।
রাতে ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
যদিও রাতের খাবার হালকা এবং পুষ্টিকর হওয়া উচিত, তবে সেজন্য আবার ফল বেছে নেবেন না যেন। ফলের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা হরমোনের নিঃসরণ ঘটাতে পারে যা শরীরে শক্তির মাত্রা বাড়ায়। এতে আপনার রাতের ঘুম ব্যাহত হতে পারে। এই অভ্যাস সেইসঙ্গে সামগ্রিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে।
ঠান্ডা এবং কাঁচা ফল খাওয়া এড়িয়ে চলুন
অসংখ্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের মতে, ঠান্ডা খাবার হজম করার জন্য শরীরের অতিরিক্ত পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়। এটি ঠান্ডা ফলের ক্ষেত্রেও সত্য, যা বিভিন্ন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা যেমন বদহজম, অ্যাসিডিটি, পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে। ফলের সম্পূর্ণ উপকার পেতে, ঘরের তাপমাত্রায় পাকা ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।