মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানার দুর্গম পাহাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেপ্তার ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’র ৯ সদস্যকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই মামলায় আরও দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেনের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন, মো. হাফিজুল্লাহ, রাফিউল, শরীফুল ইসলাম, খাইরুল ইসলাম, সানজিদা খাতুন, মাইশা ইসলাম, আমেনা, হাবিবা বিনতে শরীফুল ও ফরহাদ হোসেন ওরফে শিপন। এদের মধ্যে আসামি ফরহাদকে ঢাকার মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন শাপলা ও মেঘলা আক্তার। এর মধ্যে আসামি শাপলার দুগ্ধপোষ্য দেড় বছর বয়সী মেয়ে ও পাঁচ বছর বয়সী ছেলে এবং আসামি মেঘলার দুগ্ধপোষ্য এক বছর বয়সী মেয়েসহ হাজতে পাঠানো হয়।
রোববার আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এর পর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নয় আসামিকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিটিটিসির উপ-পরিদর্শক শাহজাদা মোহাম্মদ আব্দুল্লা আল মামুন। অপরদিকে দুই আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তিনি। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ৯ আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এবং অপর দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে মিরপুর মডেল থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ আগস্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানার কর্মধা ইউনিয়নের টাট্টিউলি গ্রামের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ‘অপারেশন হিলসাইড’ পরিচালনা করে একটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে চারজন পুরুষ এবং ছয়জন নারীসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
জানা গেছে, কথিত ইমাম মাহমুদের এক অনুসারী জামিল মৌলভীবাজারে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প স্থাপনের জন্য ৫০ শতাংশ জমি কিনেছিলেন। পরে সেখানে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়। সেখান থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ১০ জন সশস্ত্র জিহাদে অংশগ্রহণ এবং প্রস্তুতির জন্য গৃহত্যাগ করে।