মারধর ও ভাঙচুরের একটি মামলায় দুই আসামিকে শুনানি ছাড়াই জামিন দেওয়ার ঘটনায় কক্সবাজারের জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলকে তলবের আদেশ ও এ সংক্রান্ত রুল প্রত্যাহার করে নিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আপিল বিভাগ এ সংক্রান্ত আদেশ বাতিল করে দেওয়ায় হাইকোর্ট এ আদেশ দিয়েছেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমী ঢাকা পোস্টকে বলেন, মারধর ও ভাঙচুরের একটি মামলায় দুই আসামিকে শুনানি ছাড়াই জামিন দেওয়ার ঘটনায় গত ৮ আগস্ট জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলকে তলব করেন
হাইকোর্ট। আগামী ১৬ আগস্ট তাকে হাজির হতে বলা হয়েছিল। পাশাপাশি রুল জারি করেছিলেন আদালত। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল। আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করে দেন। এ কারণে হাইকোর্ট আজ ৮ আগস্টের আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
এদিকে বার বার অনিয়ম করে জামিন দেওয়ার ঘটনায় আলোচিত-সমালোচিত কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলকে বদলি করা হয়েছে। গত ১০ আগস্ট তাকে কক্সবাজার থেকে বদলি করে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হয়।
গত ২৭ জুলাই চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামিদের আইন ভঙ্গ করে আদেশে মিথ্যা তথ্য লিখে একইদিনে জামিন দেওয়ার ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করায় কক্সবাজারের জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলকে অব্যাহতি দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আইন লঙ্ঘন করে জামিন দেওয়া ৯ আসামির জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পর পর দুইদিন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামিদের আইনভঙ্গ করে আদেশে মিথ্যা তথ্য লিখে একইদিনে জামিন দেওয়ার ঘটনায় কক্সবাজার জেলা জজকে কঠোরভাবে ভর্ৎসনা করেন হাইকোর্ট।গত ২১ জুন এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজকে তলব করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন।