জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিনকে টুকু বলেছেন, মৃত মা-কে শেষবার দেখার জন্য প্যারোলে মুক্তি মিললেও সরকার আমার বড় ভাই আব্দুস সালাম পিন্টুকে আসতে দেয়নি। এই নির্যাতন-নিপীড়ন কখনই ভালো পথ দেখায় না। আল্লাহ একদিন এর বিচার করবেন।
রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেলে জেলার গোপালপুর উপজেলার গুলিপেচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মায়ের জানাজার নামাজের আগে যুবদল সভাপতি এসব কথা বলেন।
এর আগে শনিবার (১২ আগস্ট) রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ও যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মা মোছা. সালমা বেগম ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
সালমা বেগমের মরদেহ তাদের গ্রামের বাড়ি গোপালপুরের গুলিপেচা এলাকায় আনা হলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা একনজর দেখতে ভিড় করেন।
জানাজায় সালাম পিন্টুকে আসতে না দেওয়ার বিষয়ে সরকারকে দায়ী করে যুবদল সভাপতি বলেন, ‘যারা করছেন, যা করছেন তারা থেমে যান। আপনারা অনেক করেছেন। এলাকার একজন জনপ্রতিনিধি ছিলেন আমার ভাই। সকলেই তাকে ভালো মানুষ হিসেবে চিনেন। আমার ভাই তার মায়ের মরা মুখটা দেখতে পারবে না এটা কি হতে পারে!’
জানাজায় কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম ওবায়দুল হক নাসির, কৃষক দলের সহ-সভাপতি মাইনুল হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মিঞা মো. রাসেল, যুবদলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল করিম সরকারসহ জেলা, উপজেলাসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা শেষে গুলিপেচা পারিবারিক কবরস্থানে সালমা বেগমের দাফন সম্পন্ন হয়।