খুব বড় রকমের এক ধাক্কাই খেয়েছে ভারতের টি-টোয়েন্টি দল। টেস্ট আর ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দাপট দেখালেও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যেন অসহায় হয়েই ছিল রাহুল দ্রাবিড় শিষ্যরা। ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করলেও শর্টার ভার্সনে তাদের দূর্বলতা ছিল চোখে পড়ার মত। দলের অল্প কজন ব্যাটার ব্যতীত মোটা দাগে ব্যর্থ ছিলেন প্রায় সবাই।
দলীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের কণ্ঠেও শোনা গেল সেই আক্ষেপ। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও জিততে না পারার কষ্ট প্রকাশ পেয়েছে তার কথায়। দলের ব্যাটিং লাইনআপে গভীরতা নেই এমন মন্তব্যও বেরিয়ে এলো তার কাছ থেকে।
দ্রাবিড়ের আক্ষেপ, উইন্ডিজে থাকা দলটি নিয়ে খুব বেশি পরিবর্তনের উপায় ছিল না, ‘আমার মনে হয়, যে স্কোয়াড নিয়ে এখানে এসেছি, সেটায় কম্বিনেশন পরিবর্তন করার মত সুযোগ ছিল না। কিন্তু সামনের দিকে যাবার আগে, আমার ভবনা, আমাদের এমনসব জায়গায় নজর দেয়া উচিত, যেখানে আমাদের উন্নতির সুযোগ আছে।’
ঠিক কোন জায়গায় উন্নতি করতে চান সেটাও স্পষ্ট ভারতীয় কোচের কাছে, ‘আমাদের ব্যাটিং এর গভীরতা বৃদ্ধির দিকে আমরা মনোযোগ দিচ্ছি। নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েই আমরা চেষ্টা করছি। তবে নিশ্চিতভাবেই আমরা খেয়াল করব, নিজেদের বোলিং দূর্বল না করেও নিজেদের ব্যাটিং লাইনআপ বড় করতে পারবো।’
ব্যাটিং ডেপথ এর ইস্যুতে প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মানও জানিয়েছেন ভারতের কোচ, ‘এসব খেলা যেমন আগায়, তাতে রানের সংখ্যা ধীরে ধীরে বড় হতেই থাকে। যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিকে তাকান, ১১ নাম্বারে নামা আলঝারি জোসেফও বাজে বলে হিট করতে সক্ষম। তাই আপনি বুঝতেই পারছেন, কাদের ব্যাটিং লাইনআপ বড়।
যদিও ইনজুরি কিংবা ক্লান্তি এড়াতে বেশ কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড়দের ছাড়াই টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নেমেছিল ভারত। তবে, দলে সুযোগ পাওয়া নবীনরাও আইপিএল খেলে অভ্যস্ত। জাতীয় দলে তাদের এমন শোচনীয় অবস্থা স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় হেলেছে দ্রাবিড়কে।