২০০৬ বিশ্বকাপের পর থেকেই বড় মঞ্চে সাফল্য নেই ফুটবল পরাশক্তি ইতালির। ২০১৪ বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বে বাদ আর ২০১৮ বিশ্বকাপে অংশ নিতে ব্যর্থ। এমনই এক দুঃসময়ে ইতালি জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন রবার্তো মানচিনি। ইতালির ঘুরে দাঁড়ানোর শুরুটাও হয়েছিল তারই হাত ধরে। টানা ৩৪ ম্যাচ অপরাজিত থেকে আজ্জুরিদের এনে দিয়েছিলেন মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব।
তবে এমন বড় সাফল্য পেয়েও সমর্থকদের পরিপূর্ণ তৃপ্তি দিতে পারেননি মানচিনি। খর্বশক্তির দল উত্তর মেসিডোনিয়ার কাছ হেরে ২০২২ বিশ্বকাপেও কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হয়েছিল তারা। তবুও ইতালির ডাগআউটে ছিলেন মানচিনি। তবে এবার সরে যাচ্ছেন কিংবদন্তি এই কোচ। ২০২৪ সালের ইউরো শুরুর মাত্র ১০ মাস আগে লিওনার্দো বনুচ্চিদের ছেড়ে যাচ্ছেন তিনি।
ফুটবলের দলবদলের বড় নাম এবং স্কাই ইতালিয়ার সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো মানচিনির দল ছাড়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দুই-চারদিনের মধ্যেই নিজেদের নতুন কোচের নাম ঘোষণা করবে ইতালির ফুটবল ফেডারেশন।
ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, হেডকোচ রবার্তো মানচিনির পদত্যাগপত্র এরইমাঝে বুঝে পেয়েছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন। তার এই পদত্যাগকে একটি ঐতিহাসিক যাত্রার পরিসমাপ্তি হিসেবে উল্লেখ করেছে তারা।
দেশকে আগেরবার ইউরো জেতালেও এবারের বাছাইপর্বে অবশ্য ভাল অবস্থানে নেই মানচিনির শিষ্যরা। নিজেদের গ্রুপে তারা আছে তৃতীয় স্থানে। সেপ্টেম্বরে উত্তর মেসিডোনিয়া এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ দুই ম্যাচে মাঠে নামবে তারা। গ্রুপের শীর্ষ দুই দল জায়গা করে নেবে ইউরোর মূলপর্বে।
আরও পড়ুন: ইতালিকে হারিয়ে ফাইনালে স্পেন
সবশেষ উয়েফা নেশন্স লিগে আজ্জুরিদের ডাগআউটে ছিলেন মানচিনি। সেখানেও দলকে নিয়েছিলেন সেমিফাইনাল পর্যন্ত। তবে লুইস দে লা ফুয়েন্তের স্পেনের কাছে হারতে হয়েছে তাকে। স্পেন অবশ্য শেষে মূল প্রতিযোগিতায় জিতে নেয়। আর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়ে ৩য় স্থানেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ইতালিকে। সবমিলিয়ে ইতালির জাতীয় দলের হয়ে ৫ বছরের বেশি সময় পার করেছেন মানচিনি। ৫৮ বছর বয়েসী এই কোচের অধীনেই ৩৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়েছে ইতালি। সেইসঙ্গে ৬০ বছর পর জিতেছে ইউরোর শিরোপা।