প্রায়ই এমন হয় যে সারাদিনে কাজের চাপে পানি খাওয়া কম হয়। পানির মাধ্যমেই বেশির ভাগ শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পন্ন হয়। শরীরে প্রতিদিন পানির যে চাহিদা তা পূরণ না হলে হাজারো শারীরিক সমস্যা শুরু হয়ে যায়।
পানি শুধু শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখে না, পরিপাকতন্ত্র ও শ্বাসতন্ত্রকে সুসংগঠিত রাখতেও পানি অপরিহার্য। শরীরে পানির অভাব হলে, শরীর নিজে থেকেই সেই সঙ্কেত দেয় আমাদের। সেই লক্ষণগুলো চিনতে পারলেই বোঝা যাবে যে, শরীরে পানির অভাব মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
শরীরে পানির অভাব হলে বর্ষার মৌসুমেও ত্বক শুষ্ক দেখায়, শুধু তা-ই নয়, ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। হঠাৎ করে ত্বক রুক্ষ বোধ করতে শুরু করলে এবং ত্বকে ব্রণ ও চুলকানির সমস্যা দেখা দিলে বুঝতে হবে, শরীরে পানির ঘাটতি হচ্ছে।
প্রস্রাবের রঙ লক্ষ করুন। হলুদ প্রস্রাব হলে বুঝতে হবে, শরীরে পানির অভাব রয়েছে। এ ছাড়াও শরীরে পানির ঘাটতির কারণে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় এবং প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বোধ হয়। এ সব উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হোন।
শরীরে পানির ঘাটতি হলে শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি মুখে দুর্গন্ধও হতে পারে। পানি মুখে পর্যাপ্ত পরিমাণে লালা উৎপাদনে সাহায্য করে। যা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়াগুলো নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
ডিহাইড্রেশন হলেই ঘন ঘন পানি পিপাসা পায়। বার বার পানি খেলেও তৃপ্তি আসে না। সে ক্ষেত্রে সাধারণ পানির পরিবর্তে লেবু-পানি বা ইলেক্ট্রলযুক্ত পানি পান করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। পানির অভাবে শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে যায়, তাই সমস্ত অঙ্গে পর্যাপ্ত রক্ত পৌঁছে দিতে হৃদ্যন্ত্রকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হয়। ফলে হৃদ্যন্ত্রের ওপর চাপ পড়ে। হঠাৎ করে হৃদ্স্পন্দন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেড়ে যায়।