গাজীপুর মহানগরী বোর্ড বাজারের মুক্তারবাড়ি এলাকায় রোববার (১৩ আগস্ট) রাতে ঘরে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ ফরমান মন্ডল মারা গেছেন। সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ফরমান আলীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, ফরমান আলীকে শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় আনা হয়েছিল। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এদিকে দগ্ধ তার ছেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার মো. মিনারুল ইসলাম (৩৫) আশংকাজনক অবস্থায় আইসিইউতে আছে। এঘটনায় দগ্ধ মিনারুলের মা খাদিজা বেগম (৬৫) ও শফিকুল ইসলাম (৩৪) নামে গ্যাস মিস্ত্রির চিকিৎসা চলছে।
>>> গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, মা-বাবাসহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা দগ্ধ
মহানগরীর বোর্ডবাজার মুক্তারবাড়ি এলাকার জমির উদ্দিন রোডে মিনারুল ইসলাম তার স্ত্রী, সন্তান ও বাবা-মাকে নিয়ে বসবাস করেন। গত রোববার বিকেলে তাদের বাড়ির রান্নার সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাজার থেকে একটি গ্যাস ভরা সিলিন্ডার কিনে নিয়ে আসেন। সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে লাগানোর পর গ্যাস জ্বলছিল না। পড়ে সিলিন্ডারের দোকান থেকে একজন মিস্ত্রি নিয়ে এসে সেটি মেরামত করেন। মেরামত শেষে গ্যাসে চুলা জ্বালাতে গেলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রান্না ঘরে থাকা মা খাদিজা, পাশের কক্ষে থাকা মিনারুল ও তার পিতা ফরমান মন্ডল অগ্নিদদ্ধ হয়। এসময়ে তার স্ত্রী ও সন্তান পাশের অন্য একটি কক্ষে থাকায় রক্ষা পান। বিস্ফোরণে ঘরের দরজা জানালা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন।গাজীপুরের গাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে রাতেই তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আগুনে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে। গ্যাস সিলিন্ডার অক্ষত থাকায় প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে।