যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই রাজ্যের মাউই দ্বীপে লাগা দাবানলের আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সর্বগ্রাসী এ দাবানলের ধ্বংসলীলা বন্ধের পর— এখন সেখানে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছেন উদ্ধারকারীরা। তারা পুড়ে যাওয়া বাড়ি ও গাড়িতে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন।
আর হাওয়াইয়ের গভর্নর জস গ্রিন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে সোমবার (১৪ আগস্ট) জানিয়েছেন, তারা আশঙ্কা করছেন উদ্ধার অভিযান চলার সময় দিনে ১০ থেকে ২০টি মরদেহ পেতে পারেন উদ্ধারকারীরা।
গত মঙ্গলবার হাওয়াইয়ের মাউইয়ে দাবানলের সূত্রপাত হয়। যা মুহূর্তের মধ্যেই পুরো দ্বীপে ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় প্রাণ বাঁচাতে অনেক সাগরে ঝাঁপ পর্যন্ত দেন। তবে সবাই দাবানল থেকে বাঁচতে পারেননি। অনেকে নিজ ঘর বা গাড়িতে আটকা পড়ে যান। রোববার পর্যন্ত ৯৬ জনের মরদেহ উদ্ধার সম্ভব হয়। যা নিশ্চিতভাবে আরও বাড়বে।
গভর্নর জস গ্রিন জানিয়েছেন, এই দাবানলে সবমিলিয়ে কত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন সে বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে তাদের ১০ দিনের বেশি সময় লাগবে। বর্তমানে দ্বীপটিতে ১ হাজার ৩০০ মানুষ নিখোঁজ আছেন।
ভয়াবহ এ দাবানলে মাউইয়ের ঐতিহাসিক লাহাইনা শহর মাটির সঙ্গে পুরোপুরি মিশে গেছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে পৃথিবীর বুক থেকে বিলীন হয়ে গেছে আস্ত একটি শহরের অস্তিত্ব।
মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করে গভর্নর জস গ্রিন আরও বলেছেন, ‘পুরোপুরি ধ্বংসযজ্ঞ ছাড়া আর কিছু দেখতে পাচ্ছি না। লাহাইনা শহরের ১২ হাজার বাসিন্দার সবাই সম্ভবত আগুন থেকে বেঁচে গেছেন অথবা আগুনে ধ্বংস হয়ে গেছেন। আমরা আশঙ্কা করছি আরও মরদেহ পাওয়া যাবে। তবে মরদেহ শনাক্ত করার বিষয়টি খুবই কঠিন।’
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার পর্যন্ত লাহাইনা শহরের মাত্র ৩ শতাংশ অংশে অভিযান চালানো হয়েছে। বর্তমানে হতাহতদের খুঁজে পেতে উদ্ধারকারী কুকুর ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে আগুনের তীব্রতার কারণে সেখানকার পরিবেশ বেশ গরম হয়ে আছে। এ কারণে কুকুরগুলোও ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করতে পারছে না।