ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিনেই ভক্তদের সুখবর দিলেন বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার। কানাডার নাগরিকত্ব ছেড়ে অবশেষে ভারতীয় হলেন তিনি।
নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে নাগরিকত্ব পাওয়ার কাগজপত্র প্রকাশ করেছেন অক্ষয়। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘দিল আর সিটিজেনশিপ দুটোই এখন হিন্দুস্তানি। হ্যাপি ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে। জয় হিন্দ।’
নিজেকে জাতীয়তাবাদী দেশভক্ত দাবি করলেও এতদিন ভারতের নাগরিকত্বই ছিল না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘনিষ্ঠ এ অভিনেতার কাছে। এই নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই সমালোচকদের তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়েন অক্ষয়। এবার সেই সমালোচনারই ইতি টানলেন তিনি।
কোভিডের সময়ই অক্ষয় ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোভিডের কারণে আড়াই বছর সময় নষ্ট হয়। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘পাসপোর্ট না থাকলেও আমি কোনো অংশে কম ভারতীয় নই।’
এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেতা জানিয়েছিলেন, বলিউডে ১৯৯০ এর দশকে তার অভিনীত একের পর এক সিনেমা ফ্লপ তকমা পাচ্ছিল। তখন বন্ধুদের পরামর্শে দেশ ছেড়ে কানাডায় বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অক্ষয়। কানাডার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু এরপরই ভক্তদের ভালোবাসায় পরপর হিট সিনেমা দিয়ে সাফল্যের শিখরে ওঠেন অক্ষয়। ২০১১ সালে কানাডা তাকে সে দেশের নাগরিকত্ব দেয়। তারপরই শুরু হয় বিতর্ক।
অক্ষয়কে বিদ্রুপ করে বারবার বলা হতো, তিনি ভারতীয় নন, ভারতের নাগরিক নন। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার কারণে এই প্রশ্ন বারবার উঠতে থাকে। সমালোচকরা বলেন, অক্ষয় এত বড় জাতীয়তাবাদী যে তার ভারতীয় নাগরিকত্ব ও পাসপোর্টই নেই। এমন অবস্থায় আবার ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন অক্ষয়। স্বাধীনতা দিবসের আগেই হাতে পেয়ে যান পাসপোর্ট।
ভারতের পাঞ্জাবে জন্ম নেওয়া অক্ষয়ের বাবা ওম ভাটিয়া ছিলেন ভারতীয় আর্মি অফিসার। পড়াশোনা বেশি ভালো লাগেনি এই অভিনেতার। ভালো লাগত স্পোর্টস, বিশেষ করে তায়কোন্ডুতে ব্যাপক আগ্রহ অক্ষয়ের। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে গিয়ে মার্শাল আর্ট শেখেন। পরে কলকাতায় একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করেছেন। ঢাকায় একটি হোটেলে শেফের কাজও করেছেন। শেষে মুম্বাইয়ে মার্শাল আর্ট শেখানোর সময় তিনি পরিচালক-প্রযোজকদের নজরে পড়েন।
বর্তমানে ‘ওহ মাই গড ২’ সিনেমায় কাজের প্রশংসা পাচ্ছেন অক্ষয়। সিনেমাটি মুক্তির ৪ দিনে আয় ৫৫ কোটি রূপি। ধারণা করা হচ্ছে, এই ছবির আয় ১৫০ কোটির ঘরে পা রাখবে।