আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১৭, ২০২৩, ৪৭ বার পঠিত
মাছ-মাংসের ঊর্ধ্বমুখী বাজারে করপোরেট সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এক পিস ডিমের দাম বাড়ানো হয়েছে পাঁচ টাকা। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ভোক্তাদের কাছ থেকে ১০ টাকার ডিম ১৫ টাকা বিক্রি করে কেবল আগস্ট মাসের ৭ দিনে ১২৫ থেকে ১৪০ কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা তুলে নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে করপোরেট ব্যবসায়ীরাই মুনাফা করেছেন ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা।
করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোল্ট্রি, নারিশ ফিড, আফতাব বহুমুখী ফার্মস, বাংলাদেশ হ্যাচারি লিমিটেড, ফেরদৌসী পোলট্রি কমপ্লেক্স, মোল্লা পোলট্রি ফার্মস, আপন অ্যাগ্রো কমপ্লেক্স, নবীণ অ্যাগ্রো ফার্মস, খন্দকার পোলট্রি কমপ্লেক্স, ইউনাইটেড এগ্রো কমপ্লেক্স কোম্পানি ইত্যাদি।
সংগঠন দুটির ফেসবুক পেজে মো. শিমুল হক রানা নামের এক কর্মকর্তা প্রতিদিন করপোরেট মালিকদের সংগঠন- বিপিআইএ’র দাম আপলোড করেন। তার সেই দামের তালিকা মুহূর্তের মধ্যে দেশের সব পোলট্রি মালিকদের নজরে আসে। পরে তারা বিভিন্ন গ্রুপে ডিমের বর্ধিত দাম ছড়িয়ে দেন। সেই তালিকা অনুযায়ী তারা কেনা-বেচা করেন। ফেসবুক পেজের পাশাপাশি ডিমের নির্ধারিত দাম ‘অ্যাগ্রিকেয়ার টোয়েন্টিফোর.কম’ নামক ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিআইএ) ও বাংলাদেশ পোলট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ (বিপিকেআরজেপি)। ডিমের দাম বাড়ানো হয় এ দুই সংগঠনের ফেসবুক পেজ ও একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
সংগঠন দুটির ফেসবুক পেজে মো. শিমুল হক রানা নামের এক কর্মকর্তা প্রতিদিন করপোরেট মালিকদের সংগঠন- বিপিআইএ’র দাম আপলোড করেন। তার সেই দামের তালিকা মুহূর্তের মধ্যে দেশের সব পোলট্রি মালিকদের নজরে আসে। পরে তারা বিভিন্ন গ্রুপে ডিমের বর্ধিত দাম ছড়িয়ে দেন। সেই তালিকা অনুযায়ী তারা কেনা-বেচা করেন। ফেসবুক পেজের পাশাপাশি ডিমের নির্ধারিত দাম ‘অ্যাগ্রিকেয়ার টোয়েন্টিফোর.কম’ নামক ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়।
ভোক্তা ও বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত দুই মাসে মুরগির খাদ্যের দাম কিংবা পরিবহন খরচ বাড়েনি। তারপরও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ডিমের দাম বাড়িয়েছে করপোরেট চক্রটি। ঠিক এক বছর আগেও একইভাবে কারসাজির মাধ্যমে দাম বাড়ানো হয়। ডিমের দাম বাড়ানোর কারণে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন কাজী ফার্মসসহ বেশি কয়েকটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে।