মাঠ ও পার্কের উন্নয়ন কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে উন্মুক্ত করার দাবি

মাঠ ও পার্কের উন্নয়ন কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছে পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন।

তারা বলছে, সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন মাঠ-পার্কগুলো উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বেশকিছু মাঠ ও পার্কের উন্নয়ন কার্যক্রম নির্দিষ্ট সময়ে শেষ না হওয়ায় সেগুলো বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আবার কিছু মাঠ ও পার্ক উন্মুক্ত হলেও অধিকাংশ সময় ঘাস ও বিভিন্ন উপকরণ রক্ষা করতে বন্ধ রাখা হয়েছে নগরবাসীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সব মাঠ ও পার্ক দ্রুত উন্মুক্ত করে দেওয়া আবশ্যক।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম, প্রত্যাশা মাদকবিরোধী সংগঠন, গ্রিন ভয়েজ, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টসহ ১৭টি সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে আয়োজিত ‘দ্রুত উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করে মাঠ-পার্ক সবার জন্য উন্মুক্ত করা হোক’ শীর্ষক অবস্থান কর্মসূচিতে এ দাবি জানানো হয়।

কর্মসূচিতে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার জিয়াউর রহমান বলেন, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী, ওসমানী উদ্যান, ফার্মগেট পার্ক, পান্থকুঞ্জ, ফজলে রাব্বী পার্কসহ বিভিন্ন মাঠ-পার্ক-উদ্যান বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট-এর পর্যবেক্ষণ থেকে দেখা যায়, যে মাঠ ও পার্কগুলো উন্নয়নের পর উন্মুক্ত করা হয়েছে তাও বিভিন্ন ক্লাব বা স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে থাকে। একাডেমিগুলো টাকার বিনিময়ে খেলাধুলা করলেও সাধারণ জনগণের প্রবেশ বাধাপ্রাপ্ত হয়। অনতিবিলম্বে সব মাঠ ও পার্ক নগরবাসীর জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানাই।

রায়েরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাহাজ্জোত হোসেন বলেন, মাঠ ও পার্কগুলো উন্নয়নের উদ্যোগে জনমনে যে স্বস্তির সঞ্চার হয়েছিল, তার প্রতিফলন বর্তমানে দেখা যাচ্ছে না। বিশেষত বাণিজ্যিক স্থাপনাগুলো গড়ে ওঠায় মাঠ ও পার্কের বৈশিষ্ট্য নষ্ট হচ্ছে।

বি-স্ক্যান এর অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড কমিউনিকেশন অফিসার সৈয়দ বোরহানউদ্দিন বলেন, বিভিন্ন কর্পোরেট কার্যক্রমের জন্য মাঠ ও পার্ক ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। কিন্তু শিশু-কিশোররা মাঠে খেলার অধিকার পায় না, যা তাদের ক্রমে বিপথগামী করে তুলছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশগম্যতাও মাঠ ও পার্কগুলোতে নিশ্চিত করা হয়নি। প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তাদের মতামত গ্রহণ ও এর প্রতিফলন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিইং বাংলাদেশের কমিউনিকেশন অফিসার মাহামুদুল হাসান বলেন, বড় আকারের মাঠ ও পার্ক তৈরি সময় সাপেক্ষ বিষয়। প্রাথমিকভাবে ওয়ার্ডভিত্তিক গাড়িমুক্ত সড়ক বা মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড আয়োজনের মাধ্যমে অস্থায়ী খেলাধুলার সুযোগ তৈরি করা হলে শিশু-কিশোর ও এলাকাবাসী উপকৃত হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এম এ মান্নান মনির বলেন, উন্নয়ন কাজে এলাকাবাসীর সম্পৃক্ততা না থাকায় তাদের চাহিদার প্রতিফলন মাঠ ও পার্কে থাকছে না। সব বয়স, লিঙ্গ ও সামর্থ্যের মানুষের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় মাঠ ও পার্কের নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঠে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com