মাটির নিচে ময়লার ভাগাড় তৈরি করতে চান চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম নগরের খোলা জায়গায় থাকা ময়লা ফেলার ভাগাড় সরিয়ে সেখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ভূগর্ভস্থ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র গড়তে চান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে টাইগারপাস চসিক কার্যালয়ে ফিনল্যান্ডের হাবা গ্রুপের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মেয়রের কাছে এ বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা তুলে ধরেন।

এ সময় মেয়র রেজাউল বলেন, বর্তমানে নাগরিকরা অনেক সচেতন হওয়ায় চট্টগ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক গোছানোভাবে হচ্ছে। তবে আমাদের এখন সাশ্রয়ী, প্রযুক্তিনির্ভর ও পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যেতে হবে। আমি চাই রাস্তায় থাকা ভাগাড়ের কারণে নাগরিকদের যে ভোগান্তি তা হ্রাসে ২০২৪ সালের মধ্যে চট্টগ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করতে।

প্রতিনিধি দলে থাকা হাবা গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হারি সোলোমা, মার্কেটিং ডিরেকটর রোশদি ইব্রাহিম এবং জাহেদুল আলম রবিন জানান, চট্টগ্রামে ময়লা ফেলার প্রচলিত পদ্ধতিতে বাসা-বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহের পর রাস্তার উপরে থাকা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে সে ময়লা ফেলা হয়। পরবর্তীতে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা সে বর্জ্য সংগ্রহ করে ল্যান্ডফিল্ডে নিয়ে যান। এ পদ্ধতিতে রাস্তার উপর থাকা এসটিএসের বর্জ্যের দুর্গন্ধে নাগরিকরা কষ্ট পান এবং রাস্তার উপর থাকা বর্জ্য দৃষ্টিকটু পরিস্থিতি তৈরি করে।

এ সমস্যা সমাধানে চসিক সম্মত হলে হাবাগ্রুপ ভূগর্ভস্থ বর্জ্য সংগ্রহাগার গড়ে তুলবে, ফলে ময়লা চোখেও পড়বে না এবং দুর্গন্ধও ছড়াবে না। এই আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে থাকবে হাইড্রোলিক প্রেশারের মাধ্যমে ময়লাকে সংকোচনের প্রযুক্তি। ফলে একই স্থানে আগের তুলনায় দ্বিগুণ বর্জ্য সংগ্রহ করা যাবে। আধুনিক প্রযুক্তির এই বর্জ্য সংগ্রহাগার পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্তা পাবেন সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা। তখন সে বর্জ্য সংগ্রহ করে ল্যান্ডফিল্ডে নিয়ে যাবে চসিকের কর্মীরা। পুরা প্রক্রিয়াটি একদিকে পরিবেশ বান্ধব, কমাবে নাগরিক দুর্ভোগ, সাশ্রয় করবে চসিকের জ্বালানি খরচ।

আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মেয়র রেজাউল চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাব্য স্থান ও বাস্তবায়নযোগ্যতা যাচাই করতে বলেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম,মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com