কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেছেন, ব্যবসায়ীদের মতো কৃষি সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তিদের এআইপির (অ্যাগ্রিকালচারাল ইম্পরট্যান্ট পারসন) মর্যাদা দেয়া হবে।
কৃষিকাজ ও উৎপাদনে আগ্রহ বাড়াতে এই প্রণোদনা দেয়া হবে। সিআইপির (কমার্শিয়ালি ইম্পরট্যান্ট পারসন) মতো এআইপিরাও ভিআইপি জোনে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে। রাজধানীর খামারবাড়িতে আজ সাংবাদিকদের এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, সরকার কৃষির সুবিধার জন্য কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতিমালা হচ্ছে। এটি পাস হলে কৃষক বিনাসুদে ঋণ পাবেন।
তিনি কেবল ঋণের আসল ব্যাংককে পরিশোধ করবেন। সুদ দেবে সরকার। কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তৃতা করেন কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ইউসুফ, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবুল কালাম আযাদ, অধিদফতরের পরিচালক চণ্ডীদাস কুণ্ডু, কৃষিবিদ জাকির হাসান।
কৃষি সচিব বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের অংশ হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে উৎপাদন দ্বিগুণ করতে হবে।
২০১৫ সালে প্রতি হেক্টরে উৎপাদন আছে ২.৬৬ টন। তিনি বলেন, আমরা এ লক্ষ্য অর্জনে তিন ফসলি জমি চার ফসলি করার পরিকল্পনা নিয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা চাই লাভজনক ও নিরাপদ কৃষি। এ নিয়ে কাজ চলছে। ঢাকার মার্কেট টার্গেট করে রাজধানীর আশপাশে নিরাপদ ফসলের মার্কেট গড়ে তোলা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সর্বশেষ ২০১৮ সালের জাতীয় কৃষি নীতিমালায় প্রাইস কমিশন (কৃষিপণ্যের মূল্য নির্ধারণ) রাখা হয়নি।