প্রকৃতি অনিকদের ক্ষমা করে না। পাপীদের কৃতকর্মের ফল ঠিকই ভোগ করতে হয় ‘আজ অথবা কাল’। বহু নিষ্ঠুর শাসক শাস্তি পেয়েছেন। হিটলারও বাঁচতে পারেননি। প্রকৃতি তাকে ক্ষমা করেনি।
আর আবরারের সেই রাতের চিৎকার অনিকদের ক্ষমা করবে!
দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও অনিক মানুষ হতে পারেনি। একজন হত দরিদ্র মানুষের মাঝেও যে পরিমাণ মানবতা থাকে, দয়া থাকে তাও নেই অনিকের মাঝে।
গতকাল জবানবন্দি শেষে যখন অনিককে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তখন সেলে ঢোকার সময়ই তাকে মারধর করেন কারাবন্দীরা। এরপর তাকে বাঁচাতে অন্যত্র সরিয়ে নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। তাকে সরিয়ে না নিলে হয়তো বাজে কিছু ঘটতে পারত!
এই অনিকই আবরারকে পিটিয়েছে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে। আবরারকে কাঁদতে পর্যন্ত দেয়নি তারা। মুখ চেপে ধরে রেখেছিলো অন্যরা। কি নিষ্ঠুর, ভাবা যায়!
আবরারের মায়ের কোল শূন্য হয়েছে। কিন্তু অনিকরাও ছাড়া পায়নি। জেলে ঢোকার আগেই মার খেয়েছে কয়েক দফায়। প্রকৃতি ক্ষমা করেনি অনিকদের।
প্রকৃতি প্রতিটা হিসেব চুকিয়ে দেয় ‘সময়ে-অসময়ে’!