গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ২০ ছাত্রের চুল কাটার ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মো. জসীম উদ্দীন শেখকে তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত বুধবার (২৩ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান এ নির্দেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা নেছারিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসার দাখিল শ্রেণির পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অধ্যক্ষ মো. বাকের হোসাইন কেচি দিয়ে ২০ ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেয়। এ ঘটনায় এলাকায় আলোচনার ঝড় ওঠে। ঘটনাটি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান এক সদস্য বিশিষ্ট ওই তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্র জানায়, বাংলা পরীক্ষার ১ম ঘণ্টা পড়ার পর হঠাৎ করে হুজুর আমাদের হলে ঢুকে সব ছাত্রের চুল কেটে দেয়। এ ঘটনার পর আমরা পরীক্ষায় না দিয়ে বেরিয়ে আসার পরে আমাদেরকে দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দেয়া হয়। এর পরে আমরা পরীক্ষা অংশগ্রহণ করি। এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হওয়ার পর হুজুর সবাইকে ডেকে আমাদের কোন অভিযোগ নেই মর্মে লিখিত নেয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দীন শেখ বলেন, আমি ট্রেনিংয়ে থাকার কারণে এখনো মাদ্রাসাটিতে তদন্তে যেতে পারিনি। তবে দুই একদিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিবো।
অধ্যক্ষ মো. বাকের হোসাইনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি চুল কেটেছি। তবে কাউকে চাপ দিয়ে মুচলেখা নেয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, চুল কাটার ঘটনার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে অধ্যক্ষ দোষী হলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।