নিরামিষ ডায়েটে শরীরে যে পরিবর্তন হয়

দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হচ্ছে মানুষের খাদ্যাভাস। একেক জনের খাদ্যাভাস একেক রকম। অনেকেই মনে করেন, নিরামিষ খাওয়ার চাইতে আমিষ খাওয়া ভালো। আর চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, নিরামিষ খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। তবে আমিষ থেকে নিরামিষ হয়ে যাওয়ায় শরীরে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন হয়। তেমনই কয়েকটি পরিবর্তন জেনে নিন-

ত্বকের পরিবর্তন

নিরামিষ ডায়েটে গেলে প্রথমেই পরিবর্তন ধরা পড়বে ত্বকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেহেতু শরীরে ভিটামিনের পরিমাণ বাড়বে, তাই ত্বকের ঔজ্জ্বল্য স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে। তবে সব নিরামিষাভোজীদের ত্বক উজ্জ্বল এমনটা নয়। কিন্তু মিশ্র ডায়েটে থাকা অবস্থার চেয়ে নিরামিষ ডায়েটে গেলেই ত্বকের গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে।

শক্তি বাড়বে

নিরামিষ খাবারে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি থাকায় শরীরের শক্তির পরিমাণ বাড়বে। ক্লান্তিকে দূরে রাখা যাবে অনেকক্ষণ। এর ফলে সারা দিন চনমনে থাকার প্রবণতা দেখা যাবে।

ওজন কমবে

প্রাণিজ প্রোটিন এবং চর্বির পরিমাণ শরীরে আসার পথ বন্ধ হয়ে যাবে নিরামিষ খাবার খেতে শুরু করার পর থেকেই। তাই এই ডায়েটে ঢুকে পড়লেই ওজন কমবে এবং হজম শক্তিও বাড়বে। সেই কারণে চর্বি জমবে কম।

বদলাবে মলত্যাগের অভ্যাস

অনেক বিশেষজ্ঞের মতেই, মিশ্র ডায়েট থেকে নিরামিষ ডায়েটে পরিবর্তন হলেই শরীরের খাদ্যতন্ত্রে পরিবর্তন আসে। প্রথম প্রথম মলত্যাগের মধ্যে কোনো নিয়ম থাকে না। এর ফলে হঠাৎ ডায়েট পরিবর্তনে একদিন কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, তো আরেক দিন পেটের গণ্ডগোল দেখা দিতে পারে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে এই খাবারে মানিয়ে নেবে। তখন আগের থেকে পেট আরও ভালো পরিষ্কার হবে। কারণ এই খাবারে ফাইব্রয়েডের পরিমাণ অনেক বেশি।

পেশির পরিবর্তন

প্রাণিজ প্রোটিন শরীরে আসা হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে পেশির পরিবর্তন হয়। আগে আঘাত পেলে আপনার পেশি যত তাড়াতাড়ি সেরে উঠতো, এখন সময় লাগবে তার চেয়ে বেশি। যারা জিমে যান, বা ভারী ওজন নিয়ে ব্যায়াম করেন বা ভারী বস্তু ওঠানো-নামানোর মতো কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাদের ক্ষেত্রে নিরামিষ ডায়েটে পেশির আঘাত সারতে সময় নেবে বেশি। কারণ নিরামিষ ডায়েটে প্রোটিনের পরিমাণ কম এবং পুরোটাই উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। তাই বাইরে থেকে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট দিতে হতে পারে।

ক্যালসিয়ামের অভাব

যারা নিরামিষাভোজী বা ভেজিটেরিয়ান তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা অতটা না হলেও যারা ভেগান, তাদের ক্ষেত্রে এটা মারাত্মক সমস্যা। কারণ তারা দুধও খান না। সে ক্ষেত্রে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘনত্ব কমে যায়। তবে সাপ্লিমেন্টে এর সমাধান করা যায়।

হৃদযন্ত্রের উপকার

যারা নিরামিষ খান, তাদের কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা অনেক কম হয়, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, শরীরে উদ্ভিজ্জ পুষ্টিগুণের কারণে কমে যায় হৃদযন্ত্রের আশঙ্কা।

 

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আজকের দিন-তারিখ
  • শুক্রবার (রাত ২:২৩)
  • ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com