পরীক্ষামূলকভাবে গরুর চোখে পরানো হয়েছিল সানগ্লাস। তবে সাধারণ রোদ-চশমা নয়। গরুর দু’ চোখে এঁটে দেওয়া হয়েছিল ‘ভিআর সানগ্লাস’। অর্থাৎ ‘ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি’-র প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সানগ্লাস। আর তার পরই ঘটেছে জাদু। সেই গরুই নাকি আগের থেকে অনেক বেশি দুধ দিচ্ছে। দুধের বন্যাও বলা যেতে পারে! ঘটনায় হতবাক পশু চিকিৎসক থেকে শুরু করে পশু গবেষক, সকলেই। এমনটাই ঘটেছে রাশিয়ার মস্কোতে।
সফলভাবে গরুর উপর এই প্রযুক্তির প্রয়োগ করেছেন মস্কোর চাষীরা। তাঁরা জানান, তারা যেটা ব্যবহার করছেন, তার নাম মডিফায়েড ভিআর হেডসেট। এই রোদচশমা পরানো হলে গরুর মুড না কি সবসময়ই বেশ ফুরফুরে থাকে। আমোদে-আহ্লাদে একেবারে আটখানা থাকে। কারণ চশমার দৌলতে গরুর চোখের সামনে ভেসে ওঠে সবুজ ঘাসে মোড়া চারণক্ষেত্র। একের পর এক সুন্দর সুন্দর মাঠের ছবি। যা দেখলে গরুর মন পুলকিত হতে বাধ্য। আর মন ভাল থাকে বলেই দুধও বেশি পরিমাণে দিচ্ছে তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরুর কথা মাথায় রেখেই এই বিশেষ ধরনের রোদ-চশমা তৈরি করা হয়েছিল। এমনকি, এই চশমার অন্যতম বৈশিষ্ট্য এটাও যে, গরুর দৃষ্টিক্ষমতা অনুযায়ী এতে স্ক্রিন কালার এবং উজ্জ্বল্যও প্রয়োজনমতো বাড়ানো-কমানো সম্ভব। আর এই সব কিছুই না কি ভিআর সানগ্লাসকে অল্প দিনেই ‘হিট’ করে দিয়েছে।
একটা সানগ্লাস পরে গরু আগের থেকে বেশি দুধ দিচ্ছে কেন? বৈজ্ঞানিকভাবে এটা কতটা সম্ভব বা আদৌ কি সম্ভব? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জটিলভাবে নয়। বরং সহজভাবে বিষয়টিকে দেখা যেতে পারে। তাহলেই উত্তর মিলবে। তাঁদের মতে, গরু খুশি থাকলে তার দুধ দেওয়ার ক্ষমতাও অনেকটাই বেড়ে যায়। এক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছে। তবে এরই পাশাপাশি তাঁরা আরও বিশদে বিষয়টিকে পর্যালোচনা করতে আগ্রহী। যেমন, এই চশমার জেরে গরুর উপর কোনও খারাপ প্রভাব পড়ছে না তো? কিংবা যেহেতু এই ধরনের চশমায় প্রচুর পাওয়ার থাকে, সেক্ষেত্রে গরুর উপর এর কোনও ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ছে না তো? আপাতত এ সবেরই উত্তর পেতে ব্যস্ত গবেষকরা।