রাবি ভিসির পদে থাকার বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান কোন কর্তৃত্ববলে পদে বহাল আছেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এ-সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

চার সপ্তাহের মধ্যে অধ্যাপক সোবহান, রাষ্ট্রপতির সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, ইউজিসি সচিবসহ ৮ বিবাদীকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান।

এর আগে গত ১৫ মে অধ্যাপক সোবহানের অপসারণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। অসত্য তথ্য দিয়ে পুনরায় ভিসি পদে বহাল থাকার অভিযোগ এনে এই নোটিশ পাঠানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়টির কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক এক শিক্ষার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহা. মুজাহিদুল ইসলাম নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়, অধ্যাপক সোবহান রাবি উপাচার্য হিসেবে ২০১৭ সালের ৭ মে চার বছরের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পান। ওই দিনই তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর একই বছরের ২১ জুন তিনি উপাচার্যের পদে থেকে ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। আবার ওই দিনই তিনি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। ফলে উপাচার্যের পদে সাময়িক শূন্যতার সৃষ্টি হয়। উপাচার্য পদে সাময়িক শূন্যতা পূরণে রাষ্ট্রপতির অনুমতি ছাড়াই এক দিনের জন্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আখতার ফারুককে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়, যা ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের পরিপন্থী।

এই নোটিশের জবাব না পাওয়ায় গত ২৪ জুলাই হাইকোর্টে রাবির সাবেক শিক্ষার্থী সালমান ফিরোজ ফয়সাল রিটটি দায়ের করেন।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published.

চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন