নুরদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৫ ফেব্রুয়ারি

এক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার এজাহার গ্রহণ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার মামলার এজাহার আদালতে আসলে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল তা গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

এর আগে বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, মুহাম্মদ রাশেদ খান, মশিউর রহমান, আবু হানিফ, এপিএম সুহেল, আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, আমিনুল ইসলাম, তুহিন ফারাবী, মেহেদী হাসান, সালেহ উদ্দিন সিফাত, নাজমুল হাসান, আয়াতুল্লাহ বেহেস্তী, রবিউল হোসেন, আরিফুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, আরিফুর রহমান, বিন ইয়ামিন মোল্লা, তরিকুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ হিল বাকী, আকরাম হোসেন, আসিফ খান, সানাউল্লাহ হক, আতাউল্লাহ, শাকিল মিয়া, হাসানুল বান্না, রবীরুল ইসলাম, রাজ, আরিফুল ইসলাম। মামলায় এই ২৯ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২২ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মামুন ও বুলবুল গ্রুপের ৩৫ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মীর একটি কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। টেলিনর কর্তৃক রাষ্ট্রপতি বরাবর উকিল নোটিশ প্রদানের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বেলা সাড়ে ১২টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে মামুন, বুলবুলের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে মধুর ক্যান্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। মামলার বাদী, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ ৩০ থেকে ৩৫ জন স্যার ফজলে হাসান আবেদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে মধুর ক্যান্টিনের সামনে পৌঁছেন। সেখানে ডাকসু ভবনের সামনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মী এবং ডাকসুর ভিপি নুরসহ তার অনুসারী ৪০ থেকে ৪৫ জন নেতাকর্মীর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। ‘ওই সময় সঞ্জিত দাস, সাদ্দাম হোসেনসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দেখে নুর এবং তার সঙ্গে থাকা অন্যরা ছাত্রলীগকে নিয়ে অশালীন, উসকানিমূলক এবং সাম্প্রদায়িক স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে সঞ্জিত দাস, সাদ্দাম হোসেন উসকানিমূলক এবং সাম্প্রদায়িক স্লোগান কেন দিচ্ছে জানার জন্য নুরের কাছে যান। নুরসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা তাদের দুইজনকে উদ্দেশ্য করে পুনরায় উসকানিমূলক স্লোগান এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ মারধর করতে উদ্ব্যত হয়’।

‘তখন পরিস্থিতি খারাপ দেখে তারা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় আসামি নুরসহ ২৯ জন এবং অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জন লাঠিসোটা ও দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা লাঠিসোটা ও দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। আসামিদের আঘাতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও অনেকেই গুরুতর জখম হয়’।

নিজেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হালকা করতেই ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ ছাত্র অধিকারের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন।

মামলার প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, নিজেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হালকা করতেই ষড়যন্ত্রমূলক এ মামলা করেছে ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আজকের দিন-তারিখ
  • শুক্রবার (দুপুর ১:৪৯)
  • ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (বসন্তকাল)
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com