প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, চীনসহ বিশ্বের ১০৩টির বেশি দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ১৯৫ জন। মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৬শ। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত ৬০ হাজার ১৯০ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে ইতালি, ফ্রান্স, ব্রিটেন, স্পেন, নেদারল্যান্ডসসহ ইউরোপের দেশগুলোতে। এর মধ্যে ইতালিতে এটি মহামারি আকার ধারণ করেছে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৮৮৩ এবং মারা গেছেন ২৩৩ জন। চীনের বাইরে ইতালিতেই বেশি মৃত্যু ঘটেছে করোনায়। বর্তমানে চীনের চেয়েও বেশি সংক্রমণ ঘটছে ইতালিতে।
মার্চের মাঝামাঝি চীনের উহানে নতুন রোগীর সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে বলে আশা করছেন চীনা চিকিৎসকরা। ফলে শিগগির ওই অঞ্চলের অবরুদ্ধ অবস্থার অবসান ঘটবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন এক কর্মকর্তা। এক মাসের বেশি সময় ধরে কার্যত অবরুদ্ধ ছিল হুবেইর সাড়ে ৫ কোটি মানুষ। কিন্তু চীনের বাইরে প্রতিদিনই নতুন নতুন দেশে এ ভাইরাসের সংক্রমণের তথ্য আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রেও আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। দেশটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। আর এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৯। শনিবার হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমিশনার ড. স্টিফেন হ্যান। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর তা বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত যতজন এই ভাইরাসে মারা গেছে বা আক্রান্ত হয়েছে তার অধিকাংশই চীনে।