প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ইতালিতে বেড়েই চলেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে দেশটির প্রায় ছয় কোটি বাসিন্দাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ১০ মার্চ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দেশটিতে এদিন নতুন করে ১ হাজার ৭৯৭ জনের মধ্যে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। এদিন মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৯৭ জনের। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬৩ জনে। বিবিসি, সিএনএন, আল-জাজিরা। সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নতুন রোগী ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় পুরো ইতালিতে চলাচলের ওপর কড়াকড়ি আরোপের পাশাপাশি জনসমাগম নিষিদ্ধ করার মত কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার। কারণ, ইউরোপে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় পড়া দেশটিতে সাড়ে ছয় কোটি মানুষ কার্যত অবরুদ্ধ দশার মধ্যে রয়েছেন। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে ৯ মার্চ সোমবার নাগরিকদের যার যার বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। কারও জরুরি কারণে দূরে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন থাকলে সেজন্য আগে থেকে অনুমতি নিতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি বলেছেন, যারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে, তাদের সুরক্ষার জন্যই এ কড়াকড়ি। এখন আর অপেক্ষা করার ‘সময় নেই’। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ইতালিতে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৩৬৬ জন থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৬৩ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে নয় হাজার। চীনের মূল ভূখণ্ড বাদ দিলে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ইতালিতেই সবচেয়ে বেশি।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতোমধ্যে ইতালির ২০টি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস। রোববারের তুলনায় সোমবার নতুন রোগী বেড়েছে ২৪ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী কন্তে বলেন, সবচেয়ে ভালো হয় যদি আমরা যার যার ঘরেই থাকি। সংক্রমণের হার আর মৃত্যু অনেক বেড়ে গেছে। পুরো ইতালিকে এখন একটি সুরক্ষিত এলাকায় পরিণত করতে হবে। ইতালির ভালোর জন্যই আমাদের সবাইকে এটা মানতে হবে।