ভারতে নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে শুক্রবার ভোরেই। দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়ে দিয়েছে।
এর আগে ৩ বার তাদের ফাঁসির তারিখ শেষ মুহূর্তে এসে পিছিয়ে যায়। ফাঁসি পেছানোর চেষ্টা এখনও জারি রয়েছে নির্ভয়াকাণ্ডের অপরাধীদের। তবে তাদের আর কোনো আইনি সহায়তা বাকি নেই বলে এবার জানিয়ে দিয়েছে দিল্লির আদালত। শুক্রবার ভোট ৫.৩০ মিনিটে তিহাড় জেলে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে অক্ষয় ঠাকুর (৩১), পবন গুপ্তা (২৫), বিনয় শর্মা (২৬) এবং মুকেশ সিং (৩২)।
ফাঁসি বন্ধ করার জন্য পাতিয়ালা হাউস কোর্ট ফের আবেদন করেছিল এই চারজন। এদের আরও আইনি সাহায্য বাকি আছে বলে দাবি তাদের। এদিন আদালত সাফ জানিয়ে দেয় যে আর কোনও আইনি সাহায্য অবশিষ্ট নেই। আরও ১০০ বার আবেদন করলেও তা গ্রহণযোগ্য হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। আর কোনও আইনি পথ বাকি নেই নির্ভয়া মামলার চার আসামির। দিল্লির আদালত বৃহস্পতিবার এমনটাই জানাল।
অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারপতি ধর্মেন্দ্র রানাকে সরকারি আইনজীবী জানিয়ে দেন, দুই আসামি অক্ষয়কুমার সিংহ ও পবন গুপ্তার দ্বিতীয়বারের প্রাণভিক্ষার আর্জি আর গ্রহণীয় হবে না। বলা হয়েছে, প্রথমবার তাদের আর্জি গ্রহণ করা হয়েছিল এবং তা বিবেচনা করা হয়েছিল। চার আসামির মধ্যে তিনজন বুধবার দিল্লি আদালতে ফাঁসি পিছোতে আবেদন করে। তারা জানায়, তাদের দ্বিতীয় বারের প্রাণভিক্ষার আর্জি এখনও বাকি রয়েছে। গত ৫ মার্চ আদালতে তাদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়।
ওই চারজন ছাড়াও এই অপরাধে জড়িত ছিল আরও ২ জন। তার মধ্যে একজন ছিল নাবালক। ১৬ ডিসেম্বর ২০১২ সালে ওই তরুণীর উপরে লোহার রডের সাহায্যে অমানুষিক অত্যাচার চালায় অপরাধীরা। পরে ২৯ ডিসেম্বর মারা যান তরুণী।
এ ঘটনায় নাবালক অপরাধী তরুণ ৩ বছর সংশোধনাগারে থাকার পরে ছাড়া পায়। অপর অপরাধী রাম সিংহর ঝুলন্ত মৃতদেহ মেলে জেলের মধ্যে। নির্ভয়াকাণ্ড সামনে আসার পরে গোটা দেশ গর্জে উঠেছিল ক্রোধে। অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে পথে নেমে আসে দেশের যুবসমাজ।