ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে জম্মু–কাশ্মির রাজ্যকে দুটি কেন্দ্র–শাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করেছে। বৃহস্পতিবার জম্মু–কাশ্মিরকে একটি অঞ্চল ও চীন সীমান্তবর্তী লাদাখকে অপর অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে নয়া দিল্লির নিয়ন্ত্রণ আরও শক্তিশালী করতে ৫ আগস্ট রাজ্যটির স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ অধিকার বাতিলের ধারাবাহিকতায় এই আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার লাদাখের গভর্নর হিসেবে শপথ নিয়েছেন আর কে মাথুর এবং জম্মু-কাশ্মিরের গভর্নর হিসেবে শপথ নেন গিরিশ চন্দ্র মার্মু। দুটি কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চল সরাসরি দিল্লির নিয়ন্ত্রণে শাসন করা হবে।
৫ আগস্ট ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে অঞ্চলটিকে দুই টুকরো করে দেয় দিল্লি। ওই দিন সকাল থেকে কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে নিমজ্জিত হয় দুনিয়ার ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মির উপত্যকা। এ পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানকার বিপুলসংখ্যক স্বাধীনতাপন্থী ও ভারতপন্থী রাজনৈতিক নেতাকে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আর যুক্তরাষ্ট্র দুই মাস ধরে ভারত সরকারের কাশ্মির নীতির তীব্র সমালোচনা করে আসছে। যদিও মোদি সরকারের দাবি, ওই অঞ্চলে জঙ্গি দমনে তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
গুজরাটে এক জনসভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থার সত্যিকার অংশগ্রহণমূলক সহযোগিতা এখন দৃশ্যমান হবে। নতুন মহাসড়ক, নতুন রেলপথ, নতুন স্কুল ও হাসপাতাল গড়ে তোলার হবে জম্মু ও কাশ্মিরের মানুষের জন্য।
ভারতের কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চলগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে রাজ্যগুলোর চেয়ে কম স্বায়ত্তশাসন পায়। সাবেক জম্মু-কাশ্মির রাজ্যটি ছিল বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বিরোধপূর্ণ এবং সামরিকায়িত অঞ্চল। ভারত ও পাকিস্তান পুরো কাশ্মিরকে নিজেদের দাবি করলেও উভয়ের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মাত্র একাংশতে।