দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) বিতর্কিত ঠিকাদার জি কে শামীমের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
দুপুর ২টার দিকে তাকে দুদক কার্যালয়ে আনা হয়।
এ বিষয়ে দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, জি কে শামীমের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই মামলা করেছে দুদক। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে এসেছি।
তিনি বলেন, জি কে শামীমের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে। আমাদের কাছে তথ্য আছে, এ টাকার পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে। দেশে-বিদেশে তার সম্পদ রয়েছে। এ কারণেই বিশেষ তদন্তের সাপেক্ষে তাকে ডাকা হয়েছে। আশা করছি, আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।
পুলিশের রিমান্ডে জি কে শামীম সরকারের উচ্চ মহলের অনেকের নাম বলেছেন, এ বিষয়ে দুদকের কী ভূমিকা হবে- এ প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক খান বলেন, উচ্চ মহলের নাম বলেছেন কি-না জানি না। যদি বলে থাকেন, তাহলে নাম রেকর্ড হবে। তা পরবর্তী তদন্তে কাজে লাগবে।
চলমান শুদ্ধি অভিযানে মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে দুদকের করণীয় বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে আমরা চিন্তা করি না। তিনি যে পর্যায়েই থাকুন, অনুসন্ধান হবে। ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের দায়িত্ব আমরা যথাযথ পালন করবো।
সংসদ সদস্যদের সম্পদের হিসাব চাওয়ার বিষয়ে দুদক কমিশনার বলেন, কিছু এমপি সম্পদের হিসাব দিয়েছেন, কেউ কেউ দেননি। সবার সম্পদের হিসাব পেলে দুদক অনুসন্ধানে যাবে।