রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নিধনযজ্ঞের পূর্ণাঙ্গ তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার।
দেশটির দাবি, আদালতের এ সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। খবর এএফপ ‘র।
আইসিসির পাশাপাশি জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতেও মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া মানবাধিকার সংগঠনগুলো আর্জেন্টিনায় মিয়ানমারে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এসব সংগঠনের যুক্তি হলো, কিছু অপরাধ এতটাই ভয়াবহ যে, তার বিচার বিশ্বের যে কোনো দেশেই করা যায়।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ হতে বলেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্ত আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করে করা হচ্ছে না। কোনো রকম নিয়ম লঙ্ঘন হয়ে থাকলে তার তদন্ত করবে মিয়ানমারের নিজস্ব কমিটি এবং প্রয়োজন হলে জবাবদিহিও নিশ্চিত করবে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করছে না এবং চোখ বুজেও নেই।
মিয়ানমার আইসিসি সনদে স্বাক্ষরকারী নয়। তা সত্ত্বেও গত বছর এই আদালত রায় দেন যে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার করার এখতিয়ার তাদের আছে। এর কারণ হচ্ছে, এসব শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। আর এই দেশটি তাদের সদস্য। এর আগে হেগে অবস্থিত জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) সোমবার ওআইসির পক্ষে আলাদা মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। মিয়ানমার এই আদালতের সদস্য।