কাশ্মীরের সিয়াচেনে ভয়াবহ তুষারধসে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন ভারতীয় সেনা সদস্য। বাকি দু’জন তাদের সঙ্গে থাকা কুলি। এক সেনা কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার দুপুরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর আট জওয়ান সিয়াচেনে টহলদারির কাজে ১৯ হাজার ফুট উপরের হিমবাহে গিয়েছিল ভারতীয় সেনার একটি দল। সে সময় তুষারধস নামে।
সঙ্গে সঙ্গে সেনাক্যাম্পে খবর দেয়া হয়। দুর্ঘটনার পরই উদ্ধারকাজ শুরু করে সেনাবাহিনী। সেনাদের উদ্ধারে হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়। কিন্তু অত্যধিক উচ্চতা ও অক্সিজেন না থাকায় ততক্ষণে চার জওয়ান ও দুই কুলির মৃত্যু হয়েছে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বরফের নিচে নিহতদের মরদেহ চাপা পড়েছিল। বৈরী আবহাওয়ার কারণে মরদেহ উদ্ধারে বেশ বেগ পেতে হয়েছে উদ্ধারকারী দলকে।
এক সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিয়াচেন হিমবাহের ১৯ হাজার ফুট উচ্চতায় টহলহারি চালাতে গিয়েছিলেন ছয় জওয়ান। তাদের সঙ্গে ছিলেন দুই মালবাহক। কিন্তু আচমকা তাদের দিকে ধেয়ে আসে তুষারধস। নিজেদের রক্ষা করার সময় পাননি তারা। তুষারধসের সঙ্গেই ভেসে যান তারা।
হিমালয়ের কারাকোরাম রেঞ্জে ২০ হাজার ফুট উঁচুতে রয়েছে সিয়াচেন হিমবাহ। ওই অঞ্চলকেই বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র বলে ধরা হয়। তুষারধস বা পাথরধস এখানকার নিত্যনৈমিত্যিক ঘটনা। শীতকালে তাপমাত্রা এখানে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যায়। এই প্রবল প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার মধ্যেই ভারতীয় জওয়ানরা দেশের সীমান্ত রক্ষার জন্য মোতায়েন রয়েছেন। নিত্যদিনের টহলদারির ক্ষেত্রে প্রাণ হাতে নিয়ে কাজ করতে হয় তাদের।