চীনের জিয়াংসু প্রদেশের থাইজু শহরে অবস্থিত জিয়াংসু এগ্রি-এনিম্যাল হাজভেন্ডারি ভোকেশনাল কলেজে ১ম বর্ষের ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের বরণ এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ২৫টি দেশের ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজিত হয়।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে কলেজ লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে উপস্থিত অতিথিরা ও শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে সম্মান জানায় চীনের জাতীয় সংগীতকে। কলেজের ইন্টারন্যাশনাল ডিপার্টমেন্ট, পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক শিক্ষকরা, ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের প্রধান শিক্ষকরা, চীনের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আগত ও বিশ্বের অন্যদেশ থেকে আগত ১৫০০০ পড়ুয়া শিক্ষার্থীর এই কলেজে নতুন ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের স্বাগতম জানান।
ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তৃতীয় বর্ষের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মুন্না আহমেদ বলেন, ‘আমাদের কলেজের শিক্ষার মান যেমন উন্নত তেমনি কলেজের পরিবেশ, শিক্ষকদের আচরণ সব মিলিয়ে আমাদের মনকে ছুঁয়ে যাবে। আর আশা করি আমরা উচ্চশিক্ষা অর্জন করে নিজের দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবো।
অতিথি এবং শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শেষে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের সাফল্য অর্জনের জন্য ৪টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে ৭৯ জন ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের হাতে অতিথিরা স্কলারশিপ সার্টিফিকেট এবং নগদ অর্থ তুলে দেন।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান তুহিন তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘সাফল্য অর্জনের কারণে ৭৯ জন ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীকে কলেজ কর্তৃক স্কলারশিপ প্রদান করা হয়, তন্মধ্যে আমরা ৩৮ জন বাঙালি রয়েছি। এটা সত্যিই আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। ভবিষ্যতেও আমরা আমাদের এই সাফল্য ধরে রাখতে চাই। বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে চাই।’
স্কলারশিপ সার্টিফিকেট প্রদানের শেষে বিরতি দেওয়া হয়। বিরতির পর অনুষ্ঠান শুরু হলে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে চায়না পুলিশের থাইজু ব্যুরোর ঊর্ধ্বতন অফিসাররা চীনের আইন এবং বিধি-নিষেধ সম্পর্কে দিক-নির্দেশনা প্রদানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও চীন সরকারের তত্ত্বাবধায়নে ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চায়না ডিটিই স্কলারশিপ শুরু হয়। জিয়াংসু এগ্রি-এনিম্যাল হাজভেন্ডারি ভোকেশনাল কলেজে ২০১৭ সালে ৭৪ জন, ২০১৮ সালে ৪৪ জন এবং ২০১৯ সালে ৮ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী শিক্ষা লাভের জন্য আসেন।