বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী তাঁর সততা আর সাদামাটা জীবনযাপনের জন্য রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট পরিচিত মুখ। তবে প্রচারবিমুখ হওয়ায় দীর্ঘদিন ছিলেন আলোচনার বাইরে। লোভ–লালসার রাজনীতির মধ্যেও নিজ আদর্শে অটল এই নেতা নীরবে–নিভৃতে ২৩ বছর বসবাস করছেন রাজধানী ঢাকার মালিবাগে দুই রুমের এক ভাড়া বাসায়। রাজনীতির মাঠে চলাচল নিয়মিত হলেও ছিলেন না কোনো সাংগঠিনক দায়িত্বে। তবে এই সময়ে আবারো আলোচনায় এসেছেন তিনি। আর সেই ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে কল–কাঠি হিসেবে কাজ করছে তার সততা ও সাদামাটা জীবন!
সমসাময়িক অনেকেই বিত্ত-বৈভবের মালিক হলেও মঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে লাগেনি কোনো দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি বা ক্যাসিনোবাজির তকমা। দল পরপর তিনবার ক্ষমতায় থাকলেও নিজেকে সব লোভ-লালসার উর্ধ্বে রেখে ব্যক্তি ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন তিনি।
জানা গেছে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়ে এসে সাবেক বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (১৯৯২-১৯৯৪) সভাপতি বানিয়েছিলেন। সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়ে মাত্র ৩০ বছর বয়সে ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম-১৫ (সাবেক ১৪; সাতকানিয়া-লোহাগড়া) থেকে। বিগত প্রায় ২০ বছর ধরে তিনি কোনো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদে নেই। সম্প্রতি দেশব্যাপী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের কারণে স্বচ্ছ ইমেজের নেতা খুঁজতে গিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে মঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরীর নাম খুব বেশি উচ্চারিত হচ্ছে। যুবলীগের শীর্ষপদে তাঁর নাম শোনা যাচ্ছে। অন্য কয়েকটি সূত্র বলছে, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদেও আসতে পারেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে একসময়ের জনপ্রিয় এই ছাত্রনেতা বলেন, এমন গুঞ্জন আমার কানেও এসেছে। আপা যদি কোনো দায়িত্ব দেন তাহলে সেটা সর্বোচ্চ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করার চেষ্টা করবো।