কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকায় অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলে’র ব্যানারে কর্মসূচি পালন করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান, শওকত মাহমুদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ছাত্রদল নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রেসক্লাব থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে কয়েকশ’নেতাকর্মীর একটি মিছিল হাইকোর্টের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়।
প্রায় সোয়া ঘণ্টা সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর পুলিশ তাদের সরে যেতে বলে। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা না সরলে তাদের ওপর পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে চায়।
এ সময় নেতাকর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে তাকে। তখন সড়কে প্রায় ৩০টির মতো গাড়ি ভাঙচুর করেন বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা।
এর আগে প্রেসক্লাব থেকে মিছিলটি হাইকোর্টের দ্বিতীয় গেটে গেলে তাদের সঙ্গে যোগ দেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। পরে সেখানেই অবস্থান নেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপি নেতা নোমান বলেন, আমরা কোনো অসাংবিধানিক কাজ করছি না। দেশনেত্রীর মুক্তির দাবিতে হাজার হাজার নেতাকর্মী ঘর ছেড়ে আজ রাজপথে নেমেছে। রাজপথই আমাদের ঠিকানা। যতক্ষণ পারি ততক্ষণ অবস্থান করবো। পুলিশ যেন আমাদের উস্কানি না দেয়।
তার এই বক্তব্য শেষ হতে না হতেই টিয়ারশেল ছোড়ে শুরু করে পুলিশ। পরে পুলিশ ও নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ধাওয়া দেয়। এ সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে যান বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করে।
তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানান তিনি।
গত রোববার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ কের দলটি।
ওই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, মিছিল-সমাবেশ করতে আর কখনও বিএনপি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমতি চাইবে না। আমরা আমাদের যখন খুশি তখন সমাবেশ করবো। এটা আমাদের অধিকার।