দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে অর্থাৎ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এজলাসে বিএনপির আইনজীবীদের হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলার ঘটনার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সোমবার অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা যায়, সোমবার বিকেল থেকেই আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে সিসিটিভি বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি হাইকোর্ট বিভাগের যেসব স্থানে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরা অকার্যকর সেগুলো কার্যকর করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি ঘিরে ৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের ভেতরে যে হট্টগোল হয়েছে, আবারও এমন ঘটনা ঠেকাতে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। আপিল বিভাগে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্তটিকে স্বাগত জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
গত বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি ঘিরে নজীরবিহীন হট্টগোল হয় আপিল বিভাগে। বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোলের মুখে শত শত আইনজীবীর সামনে প্রায় ৩ ঘণ্টা থমকে ছিল বিচারকাজ। পরে বের হয়ে দুপক্ষের আইনজীবীরা পাল্টাপাল্টা দোষারোপ করেন।
এমন বাস্তবতায় আগামী বৃহস্পতিবার আবার খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি। যা নিয়ে চাপা উত্তেজনা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। আবারও সেদিনের মত অবস্থা হওয়ার শঙ্কায় সোমবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুব আলম। বললেন, সেদিনের ঘটনার জন্য বিএনপির উচ্ছৃঙ্খল আইনজীবীরা দায়ী।
আপিল বিভাগে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত স্বাগত জানিয়েছে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকনও।
সুপিম কোর্ট সূত্র জানিয়েছে, সিসি ক্যামেরা বসানো হবে সেন্সিটিভ মামলা চলা হাইকোর্ট বেঞ্চেও।