অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন নির্ধারণ করেন।
প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল না করায় মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমান নতুন তারিখ ধার্য করেন। গত ২৫ নভেম্বর বাদীর নারাজি আবেদন গ্রহণ করে আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
এর আগে শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তদন্ত শেষে মামলার ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত ৩০ এপ্রিল ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলা করেন সাংবাদিক (স্টুডেন্টস জার্নাল বিডির সম্পাদক) মিঞা মো. নুজহাতুল হাচান।
সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলায় মানহানির অভিযোগে মামলাটি করা হয়। অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আসাদুজ্জামান নুর রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে প্রতিবেদন দেয় রমনা থানা।
গত ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রেসিডেন্ট শমী কায়সারের দুটি মোবাইল ফোনসেট হারিয়ে যায়। এরপর সাংবাদিকরা মোবাইল চুরি করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। নিজের নিরাপত্তাকর্মীদের দিয়ে সংবাদকর্মীদের দেহ তল্লাশি করান। কেউ ঘটনাস্থল থেকে বের হতে চাইলে তাদের ‘চোর’ বলে ওঠেন শমী কায়সারের নিরাপত্তাকর্মীরা। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন সংবাদকর্মীরা। ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানস্থলে।
পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনুষ্ঠানের এক কর্মী শমী কায়সারের মোবাইল ফোনসেট দুটি নিয়ে গেছেন। এ সময় শমী কায়সার দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে তাঁর আচরণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচিত হয়। কিন্তু ক্ষমা চাননি তিনি।
শমী কায়সারের আচরণ সাংবাদিক সমাজকে সমাজে হেয় করেছে। একইসঙ্গে বাদীর এক শ কোটি টাকার মানহানি ঘটেছে অভিযোগ করে মামলাটি দায়ের করা হয়।