অগ্রীম টিকিট বিক্রয় ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখার লক্ষ্যে সকল প্রকার টিকিট ব্লকিং বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সিএনএস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে এ আদেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়া জাহান স্বাক্ষরিত এক আদেশে জানা এ তথ্য গেছে।
এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম), বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম), প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিসিএম) ও প্রধান পরিবহন কর্মকর্তাকে (সিওপিএস) দায়িত্ব দেয়া হয়। তাছাড়া বিভিন্ন কোটার টিকিটও ৪৮ ঘণ্টা আগেই উন্মুক্ত হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, অগ্রীম টিকিট বিক্রয় ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে সকল প্রকার টিকিট ব্লকিং (অটো কোটা ব্যতীত) বন্ধ রাখার জন্য সফটওয়্যারে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনয়নের অনুরোধ রইল। অটো কোটাসমূহের টিকিট পরিচালক (ট্রাফিক), বাংলাদেশ রেলওয়ে, রেল ভবন ও স্ব স্ব ডিসিও কর্তৃক ইতঃপূর্বে জারিকৃত অত্র দফতরের পরিপত্র অনুয়ারী (১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২) ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
গত ২৬ নভেম্বর রেলভবনে অনুষ্ঠিত মাসিক পরিচালন পর্যালোচনা সভায় (ওআরএম) কাউন্টারের টিকিট ও অনলাইনের টিকিট এক তারিখে উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পাশাপাশি ভিআইপিদের জন্য বিশেষভাবে সংরক্ষিত টিকিটগুলো ৪৮ ঘণ্টা আগে কাউন্টার বা অনলাইনে উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।