ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নদনদী ও হাওর অঞ্চলের মুক্ত জলাশয়ে ভাসমান খাঁচায় মাছচাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় অনেক বেকার যুবক এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে ঝুঁকছেন। ব্যতিক্রমী এই মাছ চাষ পদ্ধতি দেখে অন্যান্য অঞ্চলের মাছচাষিরাও আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
শুষ্ক মৌসুমে নদীনালা খাল বিলে মিঠা পানির মাছ অনেকটাই কমে যায়। বর্ষার আগ পর্যন্ত দীর্ঘ একটা সময় জেলেরা অলস সময় পার করতেন। কিন্তু আধুনিক প্রক্রিয়ায় নদ-নদীর মুক্ত জলাশয়ে খাঁচায় মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের বেকার যুবকেরা।
এক যুবক বলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে এসে আমার চাষ দেখে, তারাও খাঁচায় মাছ চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছে।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের খাঁচায় মাছ পদ্ধতি দেখে কিশোরগঞ্জের ভৈরবসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মাছ চাষিরাও আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
এক মাছচাষি বলেন, সরকারিভাবে যেহেতু সহযোগিতা করবে, তাই আমারও আগ্রহ আছে এই ধরনের খাঁচায় মাছ চাষ করার।
খাঁচায় মাছ চাষ পদ্ধতি জলবায়ু সহনশীল এবং পুকুরের তুলনায় দ্বিগুণ উৎপাদন হয় বলে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, কুমিল্লা জেলার মৎস্য প্রকল্পের মাধ্যমে সার্পোট দিচ্ছি। কিন্তু অনেক চাষি নিজেদের উদ্যোগে এই মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে।
মুক্ত জলাশয়ে খাঁচায় মাছ চাষে, চাষিদের উৎসাহিত করতে সব ধরনের উদ্যোগের কথা জানান জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান। তিনি বলেন, মৎস্য চাষিরা এখানে মাছ চাষ করে, তারা অনেকেই তাদের ভাগ্যর চাকা ফিরিয়েছেন। তবে খাঁচায় যারা মাছ চাষ করেন, তাদের উৎসাহ দিতে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলে প্রথম পরীক্ষামূলক ভাবে খাঁচায় মাছ চাষ শুরু হয়। বর্তমানে জেলার ৫টি উপজেলায় ৩৩০টি খাঁচায় তেলাপিয়া ও কাতল মাছ চাষ করা হচ্ছে।