প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অতীতের যে কোনও সময়ের চেয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অবকাঠামোগত, কৌশলগত এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকে বেশি উন্নত, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও পেশাগতভাবে দক্ষ।
রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে ৭৭তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে জাতির পিতার প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে আমরা সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে শুরু করি। নতুন নতুন ডিভিশন গঠন করি। আমরা চাই সবসময় সেনাবাহিনীকে যুগোপযোগী দেখতে ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘প্রযুক্তির যুগে সব কিছুর সঙ্গে তাল মেলাতে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ঢেলে সাজানো হয়েছে। ফলে সারাবিশ্বে আমাদের সেনাবাহিনী বিশেষ সুনাম অর্জন করেছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে। বিভিন্ন দেশ, সবাই তাদের প্রশংসা করে।’
আজকের অনুষ্ঠানে ২৩৪ জন বাংলাদেশি, ২৯ জন সৌদি, ১ জন ফিলিস্তিনি, ১ জন শ্রীলঙ্কানসহ মোট ২৬৫ জন ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের মধ্যে ৭৭তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সে ২০৭ জন পুরুষ, ২৭ জন মহিলা ক্যাডেট রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।