মাদকের দু’টি পর্যায় রয়েছে, যার একটি চাহিদা এবং অন্যটি যোগান। কোনো পণ্যের চাহিদা থাকলে তার যোগান হবেই। চাহিদা থাকলে যে কোনো উপায়ে মাদকের সরবরাহ হবেই। মাদকের পেছনে বছরে এক লাখ কোটি টাকা নষ্ট হয়। কিন্তু আমরা যদি মাদকের চাহিদা বন্ধ করতে পারি তাহলে এমনিতেই মাদকের সরবরাহ কমে আসবে। এ কথা বলেছেন র্যাবের ডিজি বেনজির আহমেদ। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর রামপুরার নবীনবাগ উন্নয়ন ও কল্যাণ সমিতির রজত জয়ন্তি এবং মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বেনজির আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মাদকের বিরুদ্ধে র্যাব কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আমাদের দেশে নাকি ৮০ লাখ মাদকাসক্ত রয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশে তো ৮০ লাখ জনসংখ্যাই নেই। আর সেখানে দেশের ৮০ লাখ মাদকসেবী। আমি সবাইকে কঠোর বার্তা দিতে চাই। মাদকসেবী ও মাদক বিক্রেতা কেউই রক্ষা পাবে না। সবাইকে ধরে ধরে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়া হবে। তাই আসুন আমরা চাহিদা বন্ধ করায় জোর দেই। আমরা কীভাবে চাহিদা কমাবো? আমার পরিবারের ছেলে-মেয়ে, ভাই, বন্ধু, আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে যদি কেউ মাদকাসক্ত হয়ে থাকে, তাহলে তাদের চিকিৎসার মাধ্যমে সংশোধন করে মাদকের চাহিদা কমাতে হবে।
র্যাবের ডিজি আরও বলেন, একটি পরিবারে যদি একজন মাদকাসক্ত থাকে তাহলে সে পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই কেনো মাদক খেতে হবে? যে জিনিসটি খেলে আমার জীবন তো নষ্ট হবেই, সেই সঙ্গে আমার পরিবারও ধ্বংস হয়ে যাবে, তা কেনো খেতে হবে? ইয়াবা আসে মিয়ানমার থেকে, আর ফেন্সিডিল আসে ভারত থেকে। তারা তো এগুলো খায় না তাহলে আমরা কেনো খাবো? এ মাদকের পেছনে বছরে এক লাখ কোটি টাকা নষ্ট হয়। আমরা এই বিশাল অঙ্কের টাকা ভালো দিকে ব্যবহার করতে পারি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন, র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রাকিবুল হাসান, মতিঝিল জোনের ডিসি মো. জামিল হাসান প্রমুখ।